দেড় বছর আগে রেলের নির্দেশে শিলিগুড়ি-দার্জিলিঙের মধ্যে নিয়মিত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ বার ভরা মরসুমে পর্যটকদের সুখবর শোনাল রেল। আজ, রবিবার থেকেই সপ্তাহে প্রতিদিন চলবে যাত্রীবাহী জোড়া টয় ট্রেন। এতদিন সপ্তাহে তিন দিন এই পথে ট্রেন চলাচল করত।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর) সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার নরেন্দ্র মোহন বলেন, ‘‘বেশ কিছু সময় ধরেই নিয়মিত ট্রেন চলানোর প্রস্তুতি চলছিল। আজ, রবিবার থেকে পাহাড়, সমতল দু’জায়গা থেকেই প্রতিদিন ট্রেন ছাড়বে।’’ এনজেপি থেকে রোজ সকাল সাড়ে ৮টায় ছেড়ে ট্রেনটি বিকেল ৩টে ৩৫-এ দার্জিলিং পৌঁছবে। ও দিকে দার্জিলিং থেকেও সকাল ৮টায় ছেড়ে ট্রেনটি বিকেল ৩টে ১০ নাগাদ এনজেপি পৌঁছবে।
এত দিন সোম-বুধ-শুক্র নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পাহাড়ে যাওয়ার ট্রেন ছাড়ত। মঙ্গল-বৃহস্পতি-শনিবার দার্জিলিং থেকে প্যাসেঞ্জার টয়ট্রেন ছাড়ত। কিন্তু সমতল ও পাহাড়ে জয়রাইড ও জঙ্গল সাফারি রোজই চলত। একই ভাবে দার্জিলিং থেকে ঘুম পর্যন্ত জয়রাইডের টিকিট মেলা যেমন সমস্যা ছিল, তেমনই ওইটুকু পথে যাত্রাতেও মন ভরত না। এ বার থেকে প্রতিদিন টয়ট্রেন চলায় পর্যটকরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পাহাড়ি পথে ট্রেন চলার অ্যাডভেঞ্চার, দুই-ই উপভোগ করতে পারবেন বলে দাবি। পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠনের তরফে রাজ বসু বলেন, ‘‘রেলকে বিভিন্ন সময়ে স্মারকলিপি দিয়ে প্রতিদিন ট্রেন চালানোর দাবি জানানো হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ রাজি হওয়ায় পর্যটকরা খুশি হবেন, রেলের রাজস্বও বাড়বে।’’
২০১৫ সালে ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয় টয় ট্রেনে বিভ্রাট। কোনও দিন মাঝরাস্তায় যন্ত্র বিগড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেন আটকে থাকে, কোনও দিন ইঞ্জিন চালু না হওয়ায় ট্রেন বাতিল হয়ে যায়। দু’টি ইঞ্জিন মেরামতির জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়ে সাময়িক ভাবে সপ্তাহে তিন দিন মাত্র প্যাসেঞ্জার টয়ট্রেন চলবে বলে জানানো হয়। তার পর প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও নিয়মিত ট্রেন চালু হয়নি। তাই রেলের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়েই উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটরদের সংগঠনের সভাপতি সম্রাট সান্যালের মন্তব্য, ‘‘আশা করব রক্ষণাবেক্ষণের প্রশ্ন তুলে কিছু দিন পরেই আবার টয় ট্রেনের চলাচল অনিয়মিত হবে না।’’