Coronavirus

কী ভাবে করোনা শিশুদের, খোঁজ

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শিশুটির বাড়ি কালিয়াচক ৩ ব্লকের চক শরদি গ্রামে। এদিন ৮০ বছরের এক বৃদ্ধও করোনায় আক্রান্ত হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ০৭:২০
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিশুরাও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় জেলা। সোমবার ৯ মাসের এক শিশুকন্যা-সহ চার বছরের দু’জন ও ১১ বছরের এক জন আক্রান্তের হদিস মিলেছিল। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মঙ্গলবার চার বছরের আরও এক শিশুর লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ এল।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শিশুটির বাড়ি কালিয়াচক ৩ ব্লকের চক শরদি গ্রামে। এদিন ৮০ বছরের এক বৃদ্ধও করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর বাড়ি ইংরেজবাজার শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। জেলা কোভিড হাসপাতালের ক্যান্টিনের এক মহিলা কর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মালদহ জেলায় নতুন করে ২৫ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তাঁদের মধ্যে কালিয়াচক ১ ব্লকেই আক্রান্ত হয়েছেন ন’জন। আক্রান্তদের জেলা কোভিড হাসপাতাল ও সুনির্দিষ্ট ব্লকে থাকা কোভিড কেয়ার সেন্টার বা সেফ হোম-এ ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪৬ জন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুরু থেকে মালদহ জেলায় মূলত ভিন রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকরাই আক্রান্ত হচ্ছিলেন। কিন্তু কিছুদিন থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। তবে উদ্বেগের বিষয়, ছোট ছোট শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে জেলা জুড়ে। সোমবার ইংরেজবাজার শহরের বালুচরের ৯ মাসের এক শিশুকন্যা আক্রান্ত হয়েছিল। এ ছাড়া কালিয়াচক ১ ব্লকের মহেশপুর শেরশাহী এবং পুরাতন মালদহ ব্লকের মহিষবাথানির চার বছরের দুই শিশু সংক্রমিত হয়। কালিয়াচকের রান্নুচকের ১১ বছরের এক বালিকাও আক্রান্ত হয়েছিল। আগেও ৬, ৮ এবং ১০ বছরের কয়েক জন শিশু আক্রান্ত হয়। কয়েকদিন আগে ক্যানসার আক্রান্ত ৯ বছরের এক শিশুকন্যাও আক্রান্ত হয়। মহদিপুরের আক্রান্ত ওই শিশুকে শিলিগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ৪ বছরের এক শিশু কন্যা আক্রান্ত হয়। তার বাড়ি কালিয়াচক ৩ ব্লকের বৈষ্ণবনগর সংলগ্ন চকশেরদি গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির পরিবারের কেউ এখনও আক্রান্ত হয়নি।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘বড়দের পাশাপাশি এবার শিশুরাও জেলায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিষয়টি উদ্বেগের। কী ভাবে ওই শিশুরা সংক্রমিত হল তার খোঁজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত যে কয়েকটি শিশু আক্রান্ত হয়েছে তাদের শরীরে বাহ্যিক কোনও উপসর্গ ছিল না। ফলে দ্রুত সুস্থ হয়ে তারা বাড়ি ফিরছে। ওই শিশুদের কোভিড হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন