উত্তর সিকিমের রাস্তায় উল্টে পড়ে থাকা পর্যটকদের দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। —নিজস্ব ছবি।
উত্তর সিকিমের সাফোতে দুর্ঘটনার কবলে পর্যটকদের একটি গাড়ি। সিকিম প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তর সিকিমে ঘুরতে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ঝাড়খণ্ডের নম্বরপ্লেটের একটি ছোট চারচাকার গাড়ি।
প্রথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই গাড়িটি রাস্তায় উল্টে গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। গাড়িতে থাকা বাকি চার জনের শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সিকিম পুলিশ। তারা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছিল। কিন্তু জখম চার জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সকলকেই গ্যাংটকের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত পর্যটকদের কারও নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। তাঁরা কোথাকার বাসিন্দা, সেটাও জানা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিকিম প্রশাসন।
অন্য দিকে, প্রায় তিন মাস পর রোহিণীর রাস্তা খুলছে। নতুন বছরের শুরুর দিনই ওই পথে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু হবে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। রোহিণীর রাস্তা দিয়ে কার্শিয়াং যাওয়া সম্ভব হলে খরচ অনেকটা কমবে। জিটিএ-র পূর্ত দফতরের ভারপ্রাপ্ত এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর সোনম লেপচার কথায়, ‘‘নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই রোহিণীর রাস্তা ছোট গাড়ির জন্য খুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। সেই জন্য দিনরাত কাজ চলছে। তবে সমস্ত রকমের গাড়ি চলাচলের জন্য আরও সপ্তাহ দুই সময় লাগতে পারে।’’
গত ৪ অক্টোবর রাতে পাহাড়ে ভারী বর্ষণের জেরে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। ওই এক রাতের বৃষ্টিতেই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিঙের সংযোগকারী রোহিণীর ব্যস্ততম রাস্তার প্রায় ৫০ মিটার ধসে যায়। সে দিন থেকে রোহিণীর রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জিটিএ রাস্তা মেরামতির কাজ হাতে নিলেও অন্তত দু’-তিন মাস সময় লাগবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে শিলিগুড়ির সঙ্গে কার্শিয়াং, দার্জিলিঙের সড়ক যোগাযোগ ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং হিলকার্ট রোড হয়ে করতে হচ্ছে। ফলে যান চলাচলে সময় যেমন বেশি লাগছে, খরচও অপেক্ষাকৃত বেড়েছে।