KPP

Gajol: আবার পৃথক রাজ্যের দাবিতে পথে কেপিপি

পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিশও লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গাজল শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২২ ০৭:৩১
Share:

বিক্ষোভ: কামতাপুরি পিপলস পার্টির জাতীয় সড়ক অবরোধ। বৃহস্পতিবার গাজলে। নিজস্ব চিত্র

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে এবারে প্রকাশ্যে পথে নামল কামতাপুর পিপল্‌স পার্টি (কেপিপি)। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কেপিপির নেতা, কর্মীরা। তাঁদের অবরোধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদহের গাজলের ঘাকশোল এলাকা। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। পুলিশও লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ। যদিও লাঠি চালাবার অভিযোগ মানতে চাননি জেলা পুলিশ কর্তারা।

Advertisement

উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে প্রকাশ্যে মুখ খুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিজেপির একাধিক জনপ্রতিনিধি। এ বার প্রকাশ্যে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে কামতাপুর পিপলস পার্টির নেতা, কর্মীরা পথে নামেন। এ দিন গাজলের ঘাকশোল গ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তাঁদের আন্দোলনের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়ক। বিপাকে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের। এমন অবস্থায় অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ কেপিপির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বর্মণ এবং আরও বেশ কিছু কর্মীকে আটক করে। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সুভাষের দাবি, উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করা অত্যন্ত জরুরি। এ দিন পৃথক রাজ্যের মতো বেকারত্ব বৃদ্ধির মতো দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছিল।

Advertisement

তিনি বলেন, “তার পরেও পুলিশ আমাদের উপরে লাঠিচার্জ করে। আমাদের মারধর করে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।” তৃণমূলের মালদহের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, “তৃণমূলের আমলে রাজ্যে ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। তার পরেও কিছু মানুষ উস্কানি দিয়ে রাজ্য ভাগের কথা বলছেন।”

লাঠিচার্জের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব। তিনি বলেন, “লাঠিচার্জের কোনও বিষয় নেই। আন্দোলনের জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সবার সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন