Dinhata

বেহাল দশা রাস্তার! দিনহাটায় সাংসদ ও মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার লোকজন

শনিবার পুঁটিমারি স্টেডিয়ামে দিনহাটা মহকুমার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলা ছিল। সেই খেলার উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী উদয়ন, সাংসদ জগদীশ-সহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা। সেখানেই সকলকে একসঙ্গে পেয়ে রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার লোকজন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৬
Share:

মন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং সাংসদ জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে ঘিরে চলছে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র।

এলাকায় ঢোকার জন্য কোনও রাস্তা নেই। বর্ষাকালে বাড়ি থেকে বড় রাস্তা অবধি যেতেই কালঘাম ছুটে যায় এলাকাবাসীর। রাস্তার বেহাল দশার জন্য সময়মতো পৌঁছতে পারে না আপৎকালীন পরিষেবার গাড়িও। এমনই নানা অভিযোগে এ বার মন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং সাংসদ জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দিনহাটা-১ ব্লকের পুঁটিমারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।

Advertisement

শনিবার পুঁটিমারি স্টেডিয়ামে দিনহাটা মহকুমার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলা ছিল। সেই খেলার উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী উদয়ন, সাংসদ জগদীশ-সহ অন্য জনপ্রতিনিধিরা। সেখানেই সকলকে একসঙ্গে পেয়ে রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসীরা। তাঁদের দাবি, দিনহাটা-কোচবিহার রাজ্য সড়ক থেকে পুঁটিমারি স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অথচ সেই রাস্তা সংস্কারের জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়ে তিন মাসের মধ্যে রাস্তা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মন্ত্রী। অন্য দিকে, প্রতিশ্রুতির পরেও তিন মাসের মধ্যে রাস্তা তৈরি না হলে স্টেডিয়ামের মাঠে সকলের ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হবে, এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসী।

প্রতিশ্রুতি দিলেও এ বিষয়ে মন্ত্রী উদয়ন পরে বলেন, ‘‘সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যাচ্ছে, সেখানে রাস্তা তৈরি করার কোনও পরিকাঠামোই নেই। এলাকাবাসীকে বলে এসেছি তাঁরা যদি জমির সমস্যার সমাধান করতে পারেন, তা হলে তিন মাসের মধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে রাস্তা করে দেওয়া হবে।’’ একই সুর জগদীশের গলাতেও। তাঁর কথায়, ‘‘এখানে রাস্তা তৈরি করার মতো কোনও উপযুক্ত পরিকাঠামোই নেই। কোথাও রাস্তার জায়গায় ঘর রয়েছে, কোথাও জায়গা রয়েছে ছ’ফুট, কোথাও আবার পাঁচ ফুট। এই ভাবে রাস্তা তৈরি করা যায় না। ওঁরা জমির সমস্যার সমাধান করে দিন, আমরা তিন মাসের মধ্যে রাস্তা করে দেব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement