নীরজ জিম্বা।—ফাইল চিত্র।
ভোটদান পর্ব শেষ। ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও তিনদিন। তবে ভোটে দৌড়ঝাঁপের ফল ইতিমধ্যেই হাতেনাতে পেয়ে গিয়েছেন দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচনের বিজেপি জোট প্রার্থী নীরজ জিম্বা। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, কয়েক দিনের ভোট প্রচারে তাঁর ১১ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। নীরজ জানান, আগে তাঁর ওজন ছিল ১১০ কেজি। এখন যা কমে হয়েছে ৯৯। ওজন কমায় স্বভাবিকভাবেই খুশি নীরজ। দিনভর হাসিমুখেই বিভিন্ন বুথে ঘুরে ভোট পর্ব তদারকি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। হাসিখুশি মেজাজে ছিলেন বিনয় তামাংও। কখনও বুথে গিয়ে পরিস্থিতির খবর নিয়েছেন, কখনও হোটেলের ঘরে বসে মোবাইলে শুনেছেন নেতা, কর্মীদের কথা।
ব্লুমফিল্ড প্রাথমিক স্কুলের ২৩/৭৬ নম্বর বুথে এ দিন সকালে ভোট দেন বিনয়। ভোট দিয়ে ফের বেরিয়ে যান অন্য বুথে খোঁজ নিতে। লালকুঠিতে থাকাকালীন তাঁর কাছে খবর আসে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা বেধেছে জিএনএলএফ কর্মীদের। তৎক্ষণাৎ তিনি ফোনে সমস্যা মিটিয়ে শান্তিতে ভোট করার নির্দেশ দেন। বলেন, ‘‘ভোট আসবে ভোট যাবে, তবে পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখতে হবে। সব রাজনৈতিক দলের কাছেই আমি শান্তি বজায় রাখার আবেদন করছি। ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরে কেউ যেন শত্রুতার মনোভাব নিয়ে না চলেন। পাহাড়ের শান্তি বজায় রাখাই আমার পরম ধর্ম।’’
রবিবার সকালে মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট দিতে যান নীরজ। লালকুঠি টার্নবুল হাইস্কুলের বুথে ভোট দিয়েই এলাকা ঘুরে দেখতে বের হয়ে যান। বিভিন্ন বুথে গিয়ে দলের পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলেন। ভোটের পরিস্থিতি জানতে বিমলপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বজগাইয়ের সঙ্গেও ঘন ঘন ফোনে যোগাযোগ রাখেন। নীরজ বলেন, ‘‘আমরা বরাবরই শান্তির কথা বলেছি। পাহাড়ের উন্নয়ন ও শান্তিই আমাদের লক্ষ্য।’’ এ দিন দার্জিলিং জুনিয়র বিটি কলেজের ২৩/১৬৯ নম্বর বুথে ভোট দেন জন আন্দোলন পার্টির (জাপ) প্রার্থী অমর লামা। তারপরে দিনভর বিভিন্ন বুথে ঘুরে পরিস্থিতির খোঁজ নেন। নির্দল প্রার্থী স্বরাজ থাপা ও সারদা রাই সুব্বাও এ দিন পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেন। ভোট দেওয়ার পরে সেই ছবি নিজেদের ফেসবুকেও পোস্ট করেন দুই প্রার্থী। এ দিন সকাল সকালই দার্জিলিং পুরসভার বিটি কলেজের বুথে ভোট দিয়েছেন জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিং।