বর্ষার মুখে কালচিনির চা বাগানে ম্যালেরিয়া

৯ জুন প্রথম ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর হদিস মেলে। প্রথমে চা বাগানের হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষায় প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স (পিভি) পজিটিভ মেলে রোগীদের রক্তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০৫:০৯
Share:

প্রকোপ: ১২ নম্বর লাইনে চলছে জ্বর আক্রান্তদের ওষুধ খাওয়ানো ও রক্ত সংগ্রহের কাজ। —নিজস্ব চিত্র।

বর্ষা না আসতেই ম্যালেরিয়ার প্রকোপ দেখা দিল কালচিনি ব্লকের আটিয়াবাড়ি চা বাগানে। কয়েক দিনে রক্ত পরীক্ষায় দু’শো জনের শরীরে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলেছে। চলছে রক্ত সংগ্রহ ও ডিডিটি স্প্রের কাজ। এলাকা পরির্দশন করেছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

Advertisement

৯ জুন প্রথম ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর হদিস মেলে। প্রথমে চা বাগানের হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষায় প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স (পিভি) পজিটিভ মেলে রোগীদের রক্তে।

জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা পূরণ শর্মা জানান, গত বছর গদাধর বনবস্তিতে প্রায় দেড়শো জনের শরীরে পিভি পাওয়া গিয়েছিল। এ বার আটিয়াবাড়ি চা বাগানের বেশ কয়েকজনের রক্ত পরীক্ষা করে ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলেছে। সংখ্যা প্রায় দু’শোর কাছাকাছি। তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন। জ্বরে আক্রান্তদের ওষুধ দেওয়া থেকে রক্ত সংগ্রহ চলছে। বুধবার আটিয়াবাড়ির তিন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত প্রসূতিকে লতাবাড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।’’

Advertisement

চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে প্রায় পনেরোশো স্থায়ী শ্রমিক ও আটশো অস্থায়ী শ্রমিক রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জানান, জমা জলে জন্মানো মশা থেকে ছড়াচ্ছে ম্যালেরিয়া।

এ দিন ১২ নম্বর লাইনে গিয়ে দেখা গেল ফুলমতি রাজভোরের বাড়িতে তিন ছেলে জ্বরে আক্রান্ত। ফুলমতি রাজভর জানান তাঁর তিন ছেলে গগন, করণ ও পবনের জ্বর রয়েছে। দু’জনের জ্বর একটু কমলেও ছোট ছেলে পবনের জ্বর কমেনি। এ দিন স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ম্যালেরিয়ার ওষুধ খাওয়ান। বাগানের হাসপাতালের চিকিৎসক গোপালচন্দ্র সরকারও জানান, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন