প্রতীকী চিত্র।
ভুয়ো চিকিৎসকের পর এ বার মালদহে ভুয়ো নিয়োগচক্র। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তার স্বাক্ষর জাল করে মালদহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মি নিয়োগের নির্দেশনামা এবং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বাক্ষর জাল করে ওই একই পদে নিয়োগপত্র দেখিয়ে সেই চক্র দুর্নীতি করেছে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণির কর্মি নিয়োগ দেখিয়ে তোলা হচ্ছে টাকা। পুরো বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাতে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগও দায়ের করেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপকুমার মণ্ডল। অভিযোগ পেয়ে এই চক্রের সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
গত মাসেই মালদহে দু’জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগচক্রের অভিযোগকে ঘরে সরগরম সেই মালদহই।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার স্বাক্ষর করা একটি নিয়োগের নির্দেশনামা ছড়ানো হয়েছে। যেখানে লেখা হয়েছে যে এ বছরের জুন মাসের মধ্যে মালদহ জেলার মোট ২০টি ব্লক ও প্রাথমিক হাসপাতালে মোট ৭০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মি নিয়োগ করা হবে। সেই নির্দেশনামা প্রকাশের তারিখ রয়েছে ৪ মে। এমনকী, সেখানে স্বাস্থ্য ভবনের সিলও রয়েছে।
পাশাপাশি, মালদহ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের স্বাক্ষর করা একটি নিয়োগপত্রর কথাও জানা গিয়েছে। যেখানে রয়েছে, ২৯ মে ইস্যু করা চিঠিতে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বাঙিটোলা ব্লক হাসপাতালে চার জন ও মৌলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চারজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মিকে নিয়োগ করেছেন এবং তাঁদের জুন মাসে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেই নিয়োগপত্রে আট জনের নামও রয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দিলীপকুমার মণ্ডল এদিন রাতে বলেন, ‘‘ওই নির্দেশনামা ও নিয়োগপত্র দুটিই ভুয়ো। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও আমার স্বাক্ষর জাল করে এ সব করা হয়েছে। এ সব দেখিয়ে নিয়োগের নামে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে জেলায়। শুনেছি নিয়োগ দেওয়ার নামে টাকাও তোলা হচ্ছে।’’
তিনি জানান, ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক পুরো ঘটনা। স্বাস্থ্যভবনেও জানানোও হয়েছে। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’’