ফাইল চিত্র।
বিচারপতিদের দেওয়ার জন্য উত্তরীয় হাতের কাছে না পেয়ে শুক্রবার বিকেলে বাগডোগরা বিমানবন্দরের লাউঞ্জে উত্তরবঙ্গের এক মন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল বলে তৃণমূল সূত্রেরই খবর। শনিবার জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের অনুষ্ঠান মঞ্চে উত্তরবঙ্গের আর এক মন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে অভিনন্দন জানাতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
শনিবার জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের অনুষ্ঠানে যখন ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন জলপাইগুড়ি বেঞ্চের রেজিস্ট্রার প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, সে সময় বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর অফিসারদের দিয়ে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে ডাকিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে উঠলে গৌতমের হাত ঝাঁকিয়ে কিছু বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তা শুনে হাসিতে ভরে ওঠে পর্যটনমন্ত্রীর মুখ। মুখ্যমন্ত্রীকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে মঞ্চ থেকে নেমে যান তিনি। পরে সে ভিডিয়ো নিজের সোশ্যাল নেটওয়ার্কের পেজেও আপলোড করেন মন্ত্রী।
গৌতম পরে বলেন, ‘‘একটি বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। জলপাইগুড়িতে বেঞ্চের পরিকাঠামো তৈরির জন্য আট বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ আমাদের সকলের কাছে খুব আবেগের দিন।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন মঞ্চে গৌতম ওঠার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়েছেন, ভাল কাজ হয়েছে, আরও ভাল কাজ করতে হবে। গত দেড় বছর সার্কিট বেঞ্চের পরিকাঠামো পরিদর্শনে অসংখ্যবার জলপাইগুড়ি এসেছেন গৌতম। তার মর্যাদা দিতেই সূচনা অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁকে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্য দিকে, শুক্রবার যখন প্রধান বিচারপতি এবং অন্য বিচারপতিরা বাগডোগরায় এসে পৌঁছন, তাঁদের উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও লাউঞ্জে উত্তরীয় চেয়ে পাননি তিনি। আর তাতেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, প্রকাশ্যে তিনি সে ক্ষোভ জানিয়েও দেন।
যদিও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি, তেমন কিছুই হয়নি। মন্ত্রী রবিবাবু বলেন, ‘‘উত্তরীয় তৈরিই ছিল। লাউঞ্জে উত্তরীয় পরানো যাবে না ধরে নিয়ে আধিকারিকরা বিমানবন্দরে বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরীয় ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাগারাগির কোনও বিষয়ই নেই।’’
পরপর দু’দিনের দু’টি ঘটনা আবার জল্পনা উস্কে দিয়েছে, তা হলে কি মুখমন্ত্রীর ‘গুড বুকে’ রবিকে পিছনে ফেলে দিলেন গৌতম?