প্রস্তুতি: তৈরি মাতৃমা ভবন। নিজস্ব চিত্র
মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব চালুর তোড়জোড় চলছে কোচবিহারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল লাগোয়া এলাকায় ইতিমধ্যে ওই হাবের ভবন তৈরির কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় মেশিনপত্রও আনা হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বা মার্চের শুরুতে ওই হাব আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হতে পারে।
মঙ্গলবার ওই হাব চত্বর ঘুরে দেখেছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “শীঘ্রই হাব চালুর চেষ্টা হচ্ছে।” কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার রাজীব প্রসাদ বলেন, “আমরা হাব চালুর জন্য তৈরি রয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সঙ্কেত মিললেই তারিখ ঠিক হবে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, এক ছাদের তলায় প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের চিকিৎসার কথা মাথায় রেখেই হাবটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ওই হাবের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে, ‘মাতৃমা’। হাবটি চালু হলে মেডিক্যাল কলেজের উপরে চাপ কমবে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হাবে মোট ২৯২টি শয্যা রয়েছে। অত্যাধুনিক ওই হাবটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভাবে তৈরি করা হয়েছে। মা ও সদ্যোজাতদের নানা সংক্রমণের আশঙ্কা এড়াতে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও সেখানে থাকছে। এসএনসিইউ, এইচডিইউ, আইসিইউয়ের মতো বিভিন্ন বিভাগে পরিষেবার সুযোগও রাখা হচ্ছে ওই হাবটিতে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, মা ও সদ্যোজাতের মৃত্যুর অন্যতম কারণই হল সংক্রমণ। সেদিক থেকে হাবটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। বর্তমান ব্যবস্থায় রোগিণীদের শয্যার সঙ্গে একাধিক শয্যা থাকায় মাঝেমধ্যে বাড়তি লোকের আনাগোণার অভিযোগ ওঠে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কাও বেশি থাকে। মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ওই আনাগোণা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
মেডিক্যাল কলেজের এক আধিকারিক জানান, কোচবিহার জেলা এমজেএন হাসপাতালটি মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হলেও নতুন পরিকাঠামো সে ভাবে এখনও হয়নি। ফলে ৫০০ শয্যার ওই হাসপাতালে রোগীদের বাড়তি চাপ থাকে। হাবটি চালু হলে সেখানে বাড়তি ঘর
পাওয়া যাবে। এতে চাপ বাড়লে রোগীদের বারান্দায় রেখে চিকিৎসার সমস্যা এড়ানো সহজ হবে। দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, হাবের জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসক, নার্স, কর্মীর পদও তৈরি হচ্ছে।