মশা দেখেই চটলেন মন্ত্রী

উদ্বোধনের আর মাত্র দু’দিন বাকি। তার আগে প্রস্তুতি কত দূর, দেখতে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এসেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। কিন্তু বেঞ্চ ভবনের একটি ঘরের দরজা খুলতেই বিপত্তি। বেরিয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা। ও দিকে নর্দমার দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিয়েছেন সরকারি আধিকারিকেরা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৯ ০৫:২১
Share:

গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।

উদ্বোধনের আর মাত্র দু’দিন বাকি। তার আগে প্রস্তুতি কত দূর, দেখতে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এসেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। কিন্তু বেঞ্চ ভবনের একটি ঘরের দরজা খুলতেই বিপত্তি। বেরিয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা। ও দিকে নর্দমার দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিয়েছেন সরকারি আধিকারিকেরা।

Advertisement

নির্মীয়মাণ মঞ্চের দাঁড়িয়ে মন্ত্রী বলে উঠলেন, “হচ্ছেটা কী! পুরসভা কী কাজ করছে? চেয়ারম্যান কোথায়!” চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় তখন হাজির। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা তাঁকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন। মন্ত্রী তখনও ফুঁসছেন। বললেন, “চেয়ারম্যানকে বলতে হবে। পুরসভাকে তো আগেই জানানো হয়েছিল।” জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়াও মশার উপদ্রব নিয়ে ক্ষোভ জানান। এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতিরা এসেও বেঞ্চ চত্বরকে মশামুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সামিয়ানার ভিতরে কাপড় নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী। মলিন হয়ে যাওয়া সাদা এবং ইট রঙের সেই কাপড় দেখে চটে যান তিনি। সম্ভব হলে সেগুলি বদলানোর নির্দেশও দেন। মন্ত্রীকে রাগতে দেখে তটস্থ হয়ে যান শ্রমিকরা। জেলাশাসককে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলে বেরিয়ে যান মন্ত্রী।

Advertisement

একে তো মশা আর মলিন কাপড়, তার উপরে উদ্বোধনী মঞ্চের সামনে উন্মুক্ত নর্দমা এবং তাতে উপচে পড়া নোংরা! এই অবস্থায় পুরসভার ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী। জলপাইগুড়ি পুরসভা তৃণমূলেরই দখলে। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুরসভার তরফে বলা হয়েছে, সরকারি ভাবে যে যে কাজ করার ভার পুরসভাকে দেওয়া হয়েছিল, তার সবটাই পালন করা হয়েছে।

এ দিন মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকতবাবু পুরসভার কর্মীদের দিয়ে সাফসুতরো করানোর কাজ শুরু করেন। নর্দমাগুলি সাময়িক ভাবে ঢাকার ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে মশা তাড়ানো যাবে কী ভাবে, তা নিয়ে দিনের শেষে উদ্বেগেই থেকেছে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement