সকাল থেকেই বিমান বাড়ছে বাগডোগরায়

ট্যুর অপারেটররা বলছেন, সকাল সকালই বিমান পাওযা যাচ্ছে। তাই একবার কলকাতা দিল্লি বা মুম্বই পৌঁছে গেলে তারপরে সেই দিনই ওই বড় শহরগুলো থেকে অন্য বিমান ধরে অন্য কোনও শহরে চলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:২৮
Share:

বাগডোগরা বিমানবন্দর। —ফাইল চিত্র

কয়েক মাস আগেও বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে দিনের প্রথম বিমান চলাচল শুরু হত বেলা ১১টা ৪০ নাগাদ। গুয়াহাটির সেই বিমানটির মিনিট পাঁচেক পরেই পৌঁছত কলকাতার বিমানটি। তার পরে দিল্লির প্রথম বিমান এসে যেত বেলা দেড়টা নাগাদ। বিমান ওঠানামা চলত বেলা সাড়ে ৪টে অবধি।

Advertisement

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে সেই ছবি বদলে গিয়েছে। এখন রোজ কলকাতা থেকে বাগডোগরার বিমান আসে সকাল সোয়া ৭টা নাগাদ। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের মধ্যে কলকাতা, বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, দিল্লি বা মুম্বইয়ের ছ’টি বিমান পৌঁছে যায় বাগডোগরায়। তার পরে সন্ধ্যা অবধি একাধিক বিমান তো আছেই।

তাই বাগডোগরা থেকে এক দিনেই দেশের যে কোনও প্রান্তে পৌঁছে যাওয়া এখন খুব কষ্টকল্পনা নয়। ট্যুর অপারেটররা বলছেন, সকাল সকালই বিমান পাওযা যাচ্ছে। তাই একবার কলকাতা দিল্লি বা মুম্বই পৌঁছে গেলে তারপরে সেই দিনই ওই বড় শহরগুলো থেকে অন্য বিমান ধরে অন্য কোনও শহরে চলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাই অনেক যাত্রীই সকালের বিমানের এই সুযোগ নিচ্ছেন। তাঁরা সকালে বাগডোগরা থেকে উড়ে সন্ধে বা রাতের মধ্যে এমন শহরেও পৌঁছে যেতে পারছেন, যার সঙ্গে বাগডোগরার সরাসরি বিমান যোগাযোগ নেই। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই ছয়টি শহরের সঙ্গে খুব দ্রুত জুড়ে যাবে হায়দরাবাদও।

Advertisement

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত ছয়মাস ধরে ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) পরিষেবা কার্যকরী হওয়ায় পর থেকে বিমান সংস্থাগুলির একের পর এক বিমান বাড়িয়েছে। কয়েক মাস আগে ১৮ জোড়া বিমান চলাচল করলেও সেই সংখ্যাটা এখন দাঁড়িয়েছে ৩০ জোড়ায়। এতে বিমান সংস্থাগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ায় বেশিরভাগ সময় কলকাতা, দিল্লি বা গুয়াহাটির ভাড়া ৩-৫ হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে।

তবে এতে বেড়েছে সমস্যাও। বাগডোগরা বিমানন্দরের টার্মিনালটি ঘণ্টায় ৩০০ যাত্রীর কথা মাথায় রেখে তৈরি হলেও এখন সংখ্যাটা ১ হাজারের বেশি হয়ে যাচ্ছে। কোনও কোনও সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলের এক আধিকারিক জানান, সাত সকালে বিমানগুলি আসায় যাত্রীদের কাছে অন্যত্র পৌঁছনোর একাধিক উপায় থাকছে। আগে তা সম্ভব ছিল না। সম্প্রতি সম্প্রসারণের জন্য জমি কেনার ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে বিমানবন্দরের ভোল পাল্টে যাবে আশা করা যাচ্ছে।

বাগডোগরা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহজেই জোড়া সম্ভব হওয়ায় খুশি পর্যটন মহলও। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘নতুন বিমানগুলির জন্য একই দিনে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছনোর সুযোগ তো মিলছেই। সময়ও বাঁচছে। যা পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।’’

উল্লেখ্য, বাগডোগরা থেকে এখন কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি এবং চেন্নাইতে সরাসরি বিমান চলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন