তর্কাতর্কি: মিছিলে বাধা পুলিশের। নিজস্ব চিত্র
পুলিশের বাধায় পদযাত্রা সফল করতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মন। সোমবার কোচবিহারের গোসানিমারি রাজপাট থেকে সাগরদিঘির পাড়ে বীর চিলা রায়ের মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত পদযাত্রার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে পুলিশ গোসানিমারি তো বটেই, গোটা কোচবিহার জেলার প্রধান সড়কগুলি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়। এমনকী জেলাশাসকের দফতরের চারপাশেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই অবস্থায় সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পদযাত্রা শুরু করতেই রাজপাটের সামনেই তা আটকে দেয় পুলিশ। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বংশীবাবুর বচসা চলে। শেষপর্যন্ত তাঁদের পাকা সড়কে উঠতে দেয় পুলিশ। সেখানেই বসে পড়েন তাঁরা।
বংশীবদনের অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসন যে ভাবে তাঁদের পদযাত্রা আটকে দিল, তা গণতন্ত্র বিরোধী। তিনি বলেন, “কোচবিহারের ভারত ভুক্তি চুক্তি রূপায়ণের দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। ওই চুক্তির ভিত্তিতে কোচবিহার গ শ্রেণির রাজ্য। সেই অধিকার আমরা চাই। এ ছাড়া কোচবিহারে রাজার রেখে যাওয়া অর্থের হিসেব আমরা চাই।” তাঁর হুঁশিয়ারি, এ ভাবে তাঁদের আটকে রাখা যাবে না। কোচবিহারের মানুষ অধিকার আদায় করবেই। পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, ওই পদযাত্রার কোনও অনুমতি ছিল না। সে কারণেই বংশীবদনবাবুদের তাঁদের আটকে দিতে হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত তিন এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়, নরবু লামা শেরপা এবং অভিষেক রায় দফায় দফায় বংশীবাবুর সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, কোনও ভাবেই পদযাত্রাকে এগোতে দেওয়া যাবে না। হাজার দেড়েক লোক নিয়েই পদযাত্রা শুরু হয়।