Mamata Banerjee

মুখ্যমন্ত্রীর টুইটে স্বস্তি রাজস্থানে

যেখানে মুখ্যমন্ত্রী কোটা-সহ দেশের নানা এলাকায় আটকে পড়া রাজ্যের পড়ুয়া, বাসিন্দাদের ফেরানোর উদ্যোগের কথা জানান।

Advertisement

অরিন্দম সাহা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১২
Share:

ফাইল চিত্র।

যে হস্টেলটা সবসময় গমগম করে, সেটাই কেমন সুনসান হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনে বিভিন্ন রাজ্যের অনেকেই ফিরে গিয়েছেন। তার উপর খাবারের সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ তো আছেই। সব মিলিয়ে মাসখানেক ধরে প্রবল দুশ্চিন্তায় তাঁরা। বাড়ি ফেরা নিয়ে সেই দুশ্চিন্তার মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি পেলেন রাজস্থানের কোটা শহরে প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়া কোচবিহারের কয়েকজন পড়ুয়া। সৌজন্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবার করা একটি টুইট।

Advertisement

যেখানে মুখ্যমন্ত্রী কোটা-সহ দেশের নানা এলাকায় আটকে পড়া রাজ্যের পড়ুয়া, বাসিন্দাদের ফেরানোর উদ্যোগের কথা জানান। ফলে আশার আলো দেখছেন কোচবিহারের সৌরমিতা সরকার, অকষিতা হোমরায়ের মতো অনেকেই। ওই টুইটের কথা জেনে তাই কেউ নিজেই তড়িঘড়ি বাড়িতে ফোন করেছেন। গত কয়েকদিন কোটা থেকে ছেলেমেয়েদের বাড়ি ফেরানোর জন্য জেলার নানা মহলে দরবার করছিলেন অভিভাবকদের অনেকে।

কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান ওই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা অভিভাবকদের পাশে রয়েছি। কোটার জেলাশাসকের সঙ্গেও কয়েকদিন ধরে নিয়মিত কথা বলেছি। কোটায় থাকা জেলার পড়ুয়াদের একটি তালিকা রয়েছে। অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।”

Advertisement

জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রশিক্ষণের জন্যই মূলত ওই কোচবিহারের পড়ুয়াদের অনেকে সেখানে রয়েছেন। শহরের বাসিন্দা সৌরমিতা বলেন, “আমাদের হস্টেলে ৫৪ জনের থাকার ব্যবস্থা। তাদের মধ্যে এখন সাকুল্যে জনাপাঁচেক আছি। ক্লাস হচ্ছে না, দোকানপাট বন্ধ। অন্য রাজ্যের বেশিরভাগ বন্ধুরাও ফিরেছে। সব মিলিয়ে একটা থমথমে অবস্থায় কাটাচ্ছি। সেজন্যই বাড়ি ফেরার অনিশ্চয়তায় কিছুটা হতাশ লাগত। মুখ্যমন্ত্রীর টুইট দেখেই স্বস্তি পেয়েছি।’’

অকষিতার কথায়, “আমার হস্টেলও প্রায় ফাঁকা। খাবারও আগের মতো স্বাভাবিক নয়। কয়েকদিন আলু সেদ্ধ, ডাল, ভাত চলছে। সবচেয়ে বড় কথা, একাকিত্বের একটা যন্ত্রণা বুঝতে পারছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর টুইটে এ সব আপাতত ভুলে গিয়েছি। এখন ফেরার অপেক্ষায় আছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন