Roshan giri

Roshan Giri: বিজেপি থেকে সতর্ক থাকতে রোশনের পরামর্শ

পুরভোটে সমতলের গোর্খাদের তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেন রোশনেরা।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:১৪
Share:

রোশন গিরি। ফাইল চিত্র।

শিলিগুড়ির বাসিন্দাদের বিজেপি থেকে সতর্ক হতে পরামর্শ দিলেন বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সচিব রোশন গিরি। বুধবার দুপুরে শিলিগুড়ির দাগাপুর এলাকায় দলীয় দফতরে এক বৈঠকে দলের সচিব রোশন-সহ কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা ছিলেন। আলোচনার পর রোশন জানান, বিজেপি মিথ্যবাদী ভাঁওতাবাজদের দল। পুরভোটে সমতলের গোর্খাদের তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেন রোশনেরা।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে ভোট এসেছে আর বিজেপি নেতারা হইহই করে ময়দানে। বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। অথচ ওঁরা ভুলে যাচ্ছেন, দার্জিলিং জেলার মধ্যেই পাহাড়। সেখানে গত এক দশকের বেশি সময়ে ওঁরা কী মিথ্যা বলেছেন।’’ রোশনের সংযোজন, ‘‘আমরা দেরিতে বুঝেছি বলে ঠকেছি। শিলিগুড়ির মানুষকে এখনই বুঝতে হবে।’’

দলীয় সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে একাধিক ওয়ার্ডে গোর্খা বা নেপালি ভাষাভাষীরা থাকেন। মাল্লাগুড়ি, জংশন, প্রধাননগর, গুরুং বস্তি, ভানুনগর, দুই মাইল এলাকার বহু ওয়ার্ডে নেপালি ভোটার রয়েছে। এঁদের একটা বড় অংশ বরাবর পাহাড়ের নেতাদের কথায় প্রভাবিত হয়ে থাকেন। বিশেষ করে পাহাড়ের সঙ্গে এঁদের নিবিড় যোগাযোগ থাকায় সেখানকার নেতৃত্ব ভোটে এঁদের মধ্যে প্রচার করে থাকেন। সুবাস ঘিসিংয়ের জমানা থেকেই এটাই হয়ে আসছে। এ বার বিনয় তামাং সরাসরি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিমল গুরুং এবং অনীত থাপাও তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। সেই জায়গা থেকে সমতলে তৃণমূল নেপালিদের ভোট পাওয়ার আশা করছে। বিধানসভা ভোটেও গুরুং, অনীতেরা শাসক দলের হয়েই প্রচার করেছিলেন।

Advertisement

যদিও রোশনের কথার সরাসরি উত্তর দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। দলের দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেছেন, ‘‘তৃণমূল আর ওদের সঙ্গীরা কী করছে তা মানুষ দেখছে। শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গ থেকে মোটা টাকা কর, ফি আদায় করে কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গের উন্নয়ন করছে। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ওরাই দেয়। আমরা মানুষকে নতুন দিশা দেখাই।’’

বিজেপি-মোর্চার টানাপড়েনের মধ্যে এ দিনই পুরভোটে দলের প্রচারপত্রের ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ‘শিলিগুড়ি এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীদেরই চায়’— এই নামের স্লোগানের প্রচারও চলছে। সঙ্গে নতুন রাস্তা, সেতু, উড়ালপুল, দ্বিতীয় পানীয় জল প্রকল্প, একাধিক পার্কিং লট, স্বাস্থ্য কেন্দ্র-হাসপাতাল তৈরি-সহ পুর পরিষেবা পুরোপুরি ডিজিটাল করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।

দলের তরফে গৌতম দেব বলেছেন, ‘‘নতুন বৃহত্তর, উন্নত, উন্নয়নশীল শিলিগুড়ি তৈরি করা হবে। কয়েকদিনের মধ্যে আমরা ইস্তাহারও প্রকাশ করব। প্রচারপত্র পাড়ায় পাড়ায় বিলি করা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন