gold

ট্রেনের মধ্যে ১০ কোটির সোনা! কলকাতার পথে গ্রেফতার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চার যাত্রী

এনজেপি স্টেশন ছাড়িয়ে ট্রেনটি ডালখোলা স্টেশনে থামতেই সেখানে চার জনকে সোনা সমেত নামিয়ে নেয় ডিআরআই। পরে সেখান থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৪
Share:

সোনা গলিয়ে ছোট ছোট প্লেট তৈরি করেছিলেন অভিযুক্তরা। সেগুলিকে রং করে কার্বন পেপার দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। —নিজস্ব চিত্র।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ১০ কোটি টাকার সোনা-সহ চার জনকে গ্রেফতার করল ডিআরআই। শনিবার রাতে ট্রেনের ৪ যাত্রীর কাছে তল্লাশি চালিয়ে মোট ১৮ কেজি ৬৫৭ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়। ধৃতদের নাম নির্মেলেন্দু পাল (৫১), সুজন পাল (৩১), পীযূষ পোদ্দার (৪৬) এবং সুজিত দাস (৪৫) ।

Advertisement

খবর, সোনা গলিয়ে তা দিয়ে ছোট ছোট প্লেট তৈরি করেছিলেন অভিযুক্তরা। সেগুলিকে রং করে কার্বন পেপার দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। যাতে সহজেই কোমরের বেল্টের সঙ্গে ওই সোনা আটকে নেওয়া যায়। এ ভাবেই সোনা পাচারের ছক কষেছিলেন অসমের চার যুবক। এর পর শনিবার করিমগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে তাঁরা কলকাতাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে উঠে পড়েন। তবে এই খবর সূত্র মারফত আগেই পেয়ে যায় ডিআরআই। এনজেপি স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থামতেই সেখানে তল্লাশি শুরু হয়। ট্রেনের এস-৬ এবং বি-৫ কামরায় তল্লাশি চালাতেই মেলে ১০ কিলোগ্রাম সোনা! এই অভিযানে ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

এনজেপি স্টেশন ছাড়িয়ে ট্রেনটি ডালখোলা স্টেশনে থামতেই সেখানে চার জনকে সোনা সমেত নামিয়ে নেয় ডিআরআই। পরে সেখান থেকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয় অভিযুক্তদের। অভিযোগ, উদ্ধার হওয়া এই সোনার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি ধৃত চার জন। তাঁরা শুধু জানিয়েছেন, অসম থেকে সোনা গলিয়ে তা কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ধৃতদের কাছ থেকে ৯০টি সোনার লম্বা প্লেট উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

আদালতে তোলা হয়েছিল ধৃতদের। এ নিয়ে সরকারি পক্ষের আইনজীবী রতন বণিক বলেন, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা প্রথমে কিছুতেই জানাতে চাননি, তাঁদের কাছে সোনা রয়েছে। ট্রেনে ভিড় হওয়ায় তাঁদের ডালখোলা নামিয়ে সেখান থেকে নোটিসে শিলিগুড়ি নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরীক্ষা করে দেখা হয়, এটা বিদেশি সোনা। তবে স্ক্যানারে যাতে ধরা না পড়ে তার জন্য সোনার ‘মার্কিং’ মুছে তা গলিয়ে কার্বন পেপারে পেঁচানো হয়েছিল। ধৃতদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। শনিবার ধৃতদের পুনরায় আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন