মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে উচ্ছ্বাস মুগাভোগ হাইস্কুলের ছাত্রীদের। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
রাষ্ট্রপুঞ্জে সেরার সেরা শিরোপাপ্রাপ্তিতে উৎসবে মাতল ‘ কন্যাশ্রী’রা। তুফানগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার মুগাভোগ হাইস্কুলের ছাত্রীরা শনিবার ওই শিরোপাপ্রাপ্তির আনন্দে সামিল হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে স্কুলের মুক্তমঞ্চের বোর্ডে নবম শ্রেণির দুই পড়ুয়া রাখি অধিকারী ও চন্দন বর্মন ছবি আঁকে। স্লোগান ওঠে, ‘ আর নয় পেছনে ফেরা , কন্যাশ্রীর হাত ধরে আমরা হব সবার সেরা।’ ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রদীপ ঝা বলেন, “ কন্যাশ্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানে মহকুমা, জেলাস্তরে আমাদের ছাত্রীরা একাধিক পুরস্কার পেয়েছে। প্রকল্পে সকলেই উপকৃত। তাই টিভিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুষ্ঠানের খবর দেখে উৎসাহী ছাত্রীরা অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দেয়। তড়িঘড়ি অনুষ্ঠান হয়েছে।”
ওই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পে আর্থিক সুবিধে পাওয়ায় পড়াশোনায় আগ্রহও বেড়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের পর ‘ ড্রপ আঊট’ কমেছে। এবার ওই উর্ত্তীণদের প্রায় সকলেই কলেজেও ভর্তি হয়েছে। আগে উচ্চমাধ্যমিক পাঠক্রম চলার সময়েই ওই প্রত্যন্ত এলাকার অনেক ছাত্রীই পড়াশোনা ছেড়ে দিতেন। ওই স্কুলের ছাত্রী রাখি অধিকারীর কথায়, “আমি কন্যাশ্রী দিবসে পোস্টার আঁকার প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছি। টিভিতে সেই প্রকল্প বিশ্বসেরা হয়েছে দেখে দারুণ লেগেছে। সুযোগ হলে ওই প্রকল্প নিয়ে ছবি এঁকে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠাতে চাই।” লাবণী সরকারের বক্তব্য, “ আর্থিক সমস্যার মধ্যেও ওই প্রকল্পে আশার আলো দেখেছি।” এমন উচ্ছ্বাসের ছবি অন্য স্কুলের ‘কন্যাশ্রী’দেরও।
তুফানগঞ্জের মারুগঞ্জ হাইস্কুলের ছাত্রী মাধুরী গোস্বামী ২০১৫ সালে ইংরেজি কবিতা লেখায় রাজ্য সেরার পুরস্কার পায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সে পুরস্কৃত হয়। সেই মুখ্যমন্ত্রীকে টিভিতে প্রকল্পের জন্য সেরার সেরা শিরোপা নিতে দেখে উচ্ছ্বসিত সে। মাধুরী বলেন, “ ইচ্ছে হচ্ছে আরও একটা কবিতা লিখে পাঠাতে।”