বাড়ির পিছনের গাছ দেখে উদ্ধার হল এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো জলপাইগুড়ির দক্ষিণ বেরুবাড়ির যমপাড়ায়।
মৃতা নিরুপমা রায় (২৪) হলদিবাড়ি নেতাজি সুভাষচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সোমবার সরস্বতী পুজোর দিন বেলা এগারোটা নাগাদ তিন বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে বের হন নিরুপমা৷ মৃত তরুণীর ভাই তমাল রায় বলেন, ‘‘অন্যবার সরস্বতী পুজোর দিন দিদিরা কলেজে যেত, নয়তো মানিকগঞ্জের দিকে ঘুরতে যেত৷ কিন্তু এ বার গিয়েছিল সাতকুড়ার দিকে৷’’ পরিবারটির প্রতিবেশী ধীরেন রায়ের দাবি, ‘‘অন্য জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য নিরুপমার মা মেয়েকে একটু বকাবকি করেছিলেন৷’’ বকুনির জন্যই ওই তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে ধারণা প্রতিবেশীদের একটি অংশের। যদিও মৃতার ভাইয়ের দাবি, ‘‘মা দিদিকে তেমন কিছুই বলেনি৷’’
নিরুপমারা এক বোন, দুই ভাই৷ তাঁর বাবা দেবারু রায় দিনমজুর৷ মা মমতা রায় গৃহবধূ৷ রাতে একটি ঘরেই একদিকে নিরূপমা ও অন্যদিকে তাঁর দু’ভাই ঘুমোয়৷ বাড়ির লোকেরা জানান, এ দিন ভোরে আচমকাই তাঁর ভাইরা দেখেন নিরুপমা ঘরে নেই৷ তখনই পরিবারের সকলে মিলে তাঁকে খুজতে বের হয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির পিছনে গাছের মধ্যে ওড়নার ফাঁস লাগা অবস্থায় তাঁর দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকেরা৷ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকায় খুবই ভাল মেয়ে বলেই পরিচিত ছিল নিরুপমা৷ তাঁর মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
মানিকগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে৷