প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো চিকিৎসক সন্দেহে পুলিশের জালে আরও এক ব্যক্তি। বুধবার তুফানগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম আসিক বিল্লা। বলরামপুর এলাকায় রোগী দেখতেন তিনি। পুষ্টিবিদের পাশাপাশি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয়ও দিতেন। বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতেই ওই ব্যক্তিকে আটক করে জেরা করে পুলিশ। বুধবার ওই ব্যক্তি ও তার এক সহকারীকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের আইনজীবী গুলজার হোসেন জানান, আসিক বিল্লাকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজত ও অধীর মজুমদারকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাতে বেআইনি ভাবে নার্সিংহোম চালানোর অভিযোগের তদন্তে গিয়ে নাককটিগছ এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের বিডিও। অভিযোগ, নার্সিংহোমের মালিকের আত্মীয়পরিজনরা বিডিওকে হুমকি দেন। ওই ব্যাপারেও বিডিও তুফানগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, ‘‘বিডিও’র অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।” তুফানগঞ্জের মহকুমা শাসক মণীশ ভার্মা বলেন, “বলরামপুরের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। বিডিওকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাককাটিগছের দ্বীপেরপাড় লাগোয়া এলাকায় বেআইনি ভাবে একটি নার্সিংহোম চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পান প্রশাসনের কর্তারা। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিডিও রাজু লামার নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি দল সেখানে পৌঁছোয়। সেখানে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির কাছে নথিপত্র দেখতে চান তিনি। ঘটনা জানাজানি হতেই একদল বাসিন্দা সেখানে জমায়েত হন। বিডিও সহ অন্যদের উদ্দেশে গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের খোঁজে রাতেই তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। নার্সিংহোমটিও বন্ধ ছিল। বিডিও রাজু লামা বলেন, “ পুলিশে ওই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছি।”
পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে নাককাটিগছ থেকে ভুয়ো চিকিৎসক সন্দেহে বাদলচন্দ্র শীল নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার রাতে একই কারণে কোচবিহারে গ্রেফতার হন সুব্রত সরকার। পরপর জেলাজুড়ে এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।