Suspension Letter

সাসপেনশন লেটার ছাড়াই স্কুল থেকে বার করা হল শিক্ষককে! আঙুল তৃণমূলের দিকে

শিক্ষকের নাম ভবেশ কর। তিনি টাটু সিংহ স্মৃতি হাই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। তাঁর বাড়ি চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাওলিগছ এলাকায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

চোপড়া শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৩:০২
Share:

শিক্ষক ভবেশ কর। — নিজস্ব চিত্র।

কোন সাসপেনশনের চিঠি ছাড়াই এক শিক্ষককে স্কুল থেকে জোর করে বার করে দেওয়ার অভিযোগ। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত টাটু সিংহ স্মৃতি হাই স্কুলের ঘটনা। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার স্কুলের গেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছেন ওই শিক্ষক-সহ নাগরিক মঞ্চ ও প্রাক্তন ছাত্রেরা। শিক্ষকের দাবি, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ’ চরিতার্থ করার জন্যই তাঁকে বার করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শিক্ষকের নাম ভবেশ কর। তিনি টাটু সিংহ স্মৃতি হাই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। তাঁর বাড়ি চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাওলিগছ এলাকায়। ভবেশ জানিয়েছেন, তিনি বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক। সে কারণেই ‘তৃণমূল’-এর বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দিয়ে তাঁকে বুধবার জোর করে স্কুল থেকে বার করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক প্রণবকুমার বাড়ুই-সহ পরিচালন সমিতির কিছু সদস্য। যদিও তাঁকে কোনও সাসপেনশন লেটার দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ভবেশের কথায়, ‘‘সভাপতি নৃপেন মণ্ডল এবং প্রধান শিক্ষক প্রণবের প্ররোচনায় বাইরের দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়া হয়েছে। অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি লিখিত দিতে পারেননি।’’ এর পরেই ভবেশের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের সদস্যেরা এ সব করেছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য। কোনও আইন মানছেন না।’’

২০২১ সালে চোপড়ায় এক নাবালিকার মৃত্যুকে ঘিরে তোলপাড় হয়। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে কিশোরীর পরিবার এবং জেলা বিজেপি। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভে নামেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই ঘটনায় পথ অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে ভবেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাঁর সাজা ঘোষণা হয়। প্রায় ২৭ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর ৭ অগস্ট ছাড়া পান ভবেশ। তারপর তিনি আবার স্কুলের কাজে যোগ দেন। যদিও কাজে যোগ দেওয়ার পরও তাঁকে রেজিস্টারে সই করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ভবেশের। তার পরেই বৃহস্পতিবার স্কুলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তিনি। এই বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণব সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন