Arrest

ছেলেকে ‘খুন’ করে আত্মসমর্পণ বাবার

পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, প্রতিদিন মত্ত অবস্থায় এসে পরিবারের সকলের উপরে অত্যাচার চালাতেন অনিমেষ। আর তাতেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বাবা অনিল দেবনাথ এবং গোটা পরিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২০ ০২:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি

ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল বাবার। কিন্তু নেশাগ্রস্ত ছেলে ও তার অত্যাচারে সমস্ত স্বপ্নই ভেঙে গিয়েছিল। এমনকি, ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন পরিবারের সকলে। রবিবার রাতে সেই অত্যাচারের মাত্রা চরমে উঠেছিল বলে অভিযোগ। শেষে অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার ভোরে ছেলেকে ‘খুন’ করে আত্মসমর্পণ করলেন বৃদ্ধ বাবা। জলপাইগুড়ি শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম অরবিন্দ নগরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অনিমেষ দেবনাথ (৩৩)।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবার সূত্রের খবর, প্রতিদিন মত্ত অবস্থায় এসে পরিবারের সকলের উপরে অত্যাচার চালাতেন অনিমেষ। আর তাতেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন বাবা অনিল দেবনাথ এবং গোটা পরিবার। দিনবাজারে আনাজের দোকান রয়েছে অনিলর। দোকানে বাবার সঙ্গেই থাকতেন অনিমেষ। অভিযোগ, প্রায় সারাদিনই নেশা করে থাকতেন তিনি। এর পরে রাতে বাড়িতে এসে শুরু করতেন মারধর। নিজের স্ত্রী এবং ছেলের উপর অত্যাচার চালাতেন বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে তাঁর মায়ের উপরেও চড়াও হতেন বলে অভিযোগ। পরিবারের সকলে শান্তিতে যাতে ঘুমোতে পারেন, তাই মাঝেমধ্যে রাত জেগে বাবা ছেলেকে পাহারা দিতেন বলেও খবর।

পরিবার জানাচ্ছে, রবিবার রাতেও রোজকার মতোই মারধর চলছিল। ভোর রাতে অত্যাচারের মাত্রা সহ্য করতে না পেয়ে অনিল তাঁর ছেলেকে হাত দা দিয়ে কুপিয়ে ‘খুন’ করেন বলে দাবি পরিবারের। এর পরে সকালে সকলকে ডেকে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন অনিল। নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণও করেন। অনিল বলেন, "আর পাচ্ছিলাম না। বাধ্য হয়ে ছেলেকে মেরে ফেললাম। কাজটা ভাল করিনি। কিন্তু উপায় ছিল না।"

Advertisement

মৃতের দিদি মালা কীর্তনীয়া (দেবনাথ) বলেন, "ভাই খুব অত্যাচার করত। অনেকবার বোঝানো হয়েছিল। বাবা পরিবারের শান্তির কথা ভেবেই এই কাজ করেছে।" কোতোয়ালি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। খুনের অভিযোগ অনিল দেবনাথকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন