ট্রেনের কামরায় স্পিকারে কখনও গীতাপাঠ, কখনও ধর্মকথা শোনা যাবে। সময়ে সময়ে মিলবে পেঁয়াজ, রসুন বিহীন সুদ্ধ নিরামিষ খাবারও। আবার ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ালে মালপত্র পাহারার জন্য থাকবেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
তাই নিশ্চিন্তে ট্রেন থেকে নেমে টুরিস্ট বাসে করে চলে যাওয়া যাবে নির্দিষ্ট ধর্মস্থানে। সেখানে ঘুরে আসার পর ফের গোটা ট্রেনটি রওনা হবে, নতুন আরেকটি ধর্মস্থানের উদ্দেশ্যে। রাতে থাকার জন্য রয়েছে ভবনের ব্যবস্থাও।
মঙ্গলবার বিকালে শিলিগুড়িতে গঙ্গাসাগর, কালীঘাট, পুরীর জগন্নাথ মন্দির-সহ একাধিক ধর্মস্থানকে নিয়ে ‘আস্থা স্পেশাল টুরিস্ট ট্রেনে’র প্যাকেজের ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ‘আইআরসিটিসি’। প্যাকেজের নাম দেওয়া হয়েছে, তীর্থযাত্রা।
কর্তৃপক্ষের দাবি, উত্তর ভারতে তীর্থস্থানগুলি ঘিরে রেলের এটাই প্রথম প্যাকেজ। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কামাখ্যা স্টেশন থেকে স্পেশাল ট্রেনটি প্রথমবার ৬ রাত/৭ দিনের যাত্রা শুরু করবে। খরচ মাথাপিছু ৬১৬১ টাকা। পরবর্তীতে মার্চ মাসে প্যাকেজের দ্বিতীয় দফায় যাত্রার দিন দ্রুত ঘোষণা করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
আইআরসিটিসি-র জয়েন্ট জেনারেল ম্যানেজার (পূর্ব-পর্যটন) কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রেলবোর্ডের তরফে আমাদের এই ধরনের প্যাকেজ চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তীর্থ করতে আগ্রহী প্রবীণ বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখেই প্যাকেজটি তৈরি করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলেওয়ে ট্রেনটির ব্যবস্থা করছে।’’ তিনি জানান, স্পেশাল ট্রেনটির ৯টি স্লিপার কামরা থাকছে। সঙ্গে প্যান্ট্রিকার, মালবোঝাই দুটি কামরাও থাকবে।
ট্রেনটি কামাখ্যা থেকে কলকাতা যাবে। বুকিং করা যাত্রীরা কামাখ্যা, আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার, এনজেপি, মালদহ, নিউ ফরাক্কা, পাকুর, রামপুরহাট হয়ে বোলপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে পারবেন। ট্রেন ছাড়াও বিভিন্ন ভবনে রেখে বাসে করে গঙ্গাসাগর, স্বামী নারায়ণ মন্দির, কালীঘাট, বিড়লা মন্দির, পুরীর জগন্নাথ মন্দির, কোনারক মন্দির এবং লিঙ্গরাজ মন্দির যাত্রীদের ঘুরে দেখানো হবে।