BJP

জনসংযোগই পাখির চোখ দুই শিবিরের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০৫:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি।

এ যেন জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখে জনসংযোগের নয়া প্রতিযোগিতা।

Advertisement

একদিকে স্বাধীনতা দিবস, অন্যদিকে রাখী। আর এই দুইকে হাতিয়ার করে কার্যত বুধবার থেকেই আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে জনসংযোগের প্রস্তুতি শুরু করে দিল যুযুধান দুই প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও বিজেপি। স্বাধীনতা দিবস পালন করতে এ দিন বিকেলেই বক্সা পাহাড়ে রওনা হন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। দুপুর থেকে নিজের বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয় পতাকা বিলি করেন তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী।

অন্য দিকে, কোচবিহারে দুই দলই নিজেদের কর্মসূচি ঠিক করে নিয়েছে। কেউ ফুটবল খেলার আয়োজন করেছে। কেউ পালন করবে রাখিবন্ধন উৎসব। পতাকা উত্তোলন তো আছেই। আজ, বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল থেকেই শুরু হবে ওই অভিযান। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বা কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা, সকলেই নামবেন রাস্তায়।

Advertisement

স্বাধীনতা দিবস বা রাখিকে হাতিয়ার করে জনসংযোগ নতুন কিছু নয় তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলার নেতাদের কাছে। বরং, এত দিন তাঁরা যে কার্যত একচেটিয়াভাবে জেলা জুড়ে ছুটে বেড়াতেন, এ বারে ছবিটা একটু আলাদা। এই প্রথম তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হল। প্রশ্নও উঠল, এত দিন ধরে যদি জনসংযোগ বাড়িয়েই থাকেন তাঁরা, তা হলে লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে প্রায় আড়াই লাখ ভোটে হারতে হল কেন?

এই বিতর্ককে পিছনে ফেলেই এ দিন নিজের বিধানসভা এলাকায় জাতীয় পতাকা বিলি করেন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পার্টি অফিস ও শাখা সংগঠনের অফিসে গিয়ে জাতীয় পতাকা তোলার কথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর। মৃদুল বলেন, ‘‘জন্মের পর যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই স্বাধীনতা দিবস পালন করছি। এর সঙ্গে রাজনীতি বা জনসংযোগের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এ দিন বক্সা পাহাড়ে গিয়েছেন। সেখানে যোগাযোগের উন্নতির জন্য রোপওয়ের ব্যবস্থা করা যায় কিনা, খতিয়ে দেখবেন তিনি। জনের কথায়, ‘‘স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে জনসংযোগের বিষয় নেই। প্রতি বছরই স্বাধীনতা দিবসের নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিই।’’

কোচবিহারেও দুই শিবিরে সাজো সাজো রব। রবীন্দ্রনাথ জানান, তিনি সকালে কোচবিহার জেলা পার্টি অফিসে পতাকা উত্তোলন করবেন। সেখান থেকে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে যাবেন। তিনি বলেন, “দলের পক্ষ থেকে সব জায়গায় স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। আমি নিজে একাধিক অনুষ্ঠানে যাব।” বিজেপি সভানেত্রী মালতী রাভ জানান, জেলায় দলের সমস্ত পার্টি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলের নানা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। জেলা পার্টি অফিসে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি রাখিবন্ধন উৎসব পালন করা হবে। তিনি বলেন, “সারাদিন অনুষ্ঠান রয়েছে। একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন