বিতর্কের কেন্দ্রে এই পোস্ট।
কুর্সি কার, এই প্রশ্নেই বিতর্ক বাধল আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যায়৷
বিতর্কের মূলে জেলাশাসক নিখিল নির্মলের স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণনের একটি ফেসবুক পোস্ট৷ সেই পোস্টে কারও নাম লেখা হয়নি৷ কিন্তু নন্দিনীদেবী ওই পোস্টে দুটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, দিস ইজ় নট ফেয়ার, অর্থাৎ এটা ঠিক নয়। ছবি দুটিতে দেখা যাচ্ছে ডুয়ার্স কন্যার কনফারেন্স রুমে আরও অনেকের সঙ্গে চেয়ারে বসে বৈঠক করছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী৷ এর পরেই বিতর্ক বাধে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবার ডুয়ার্সকন্যায় আলিপুরদুয়ারের আসন্ন ডুয়ার্স উৎসব নিয়ে বৈঠক হয়৷ অনুষ্ঠান কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রযেছেন সৌরভ৷ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন জেলাশাসক৷ কিন্তু একটি বৈঠকে যোগ দিতে তিনি কলকাতায় থাকায় সোমবারের বৈঠকটি তাঁকে ছাড়াই হয়৷ সোমবার রাতেই ফেসবুকে বৈঠকের দুটি ছবি পোস্ট করেন নন্দিনী কৃষ্ণন৷ তবে সেটা কোনদিনের বৈঠকের ছবি তা লেখেননি তিনি৷ ছবিতে দেখা যায় একটি চেয়ারে বসে বৈঠক করছেন বিধায়ক, যেটি অন্যদের চেয়ারগুলির থেকে খানিক বড়। সেখানে জেলাশাসককে না দেখে অনেকের অনুমান, ছবিটি সোমবারের৷
প্রশাসনের আধিকারিকেরা অনেকে জানান, ওই চেয়ারটিতে জেলাশাসকই বসেন৷ নন্দিনীদেবী৷ অবশ্য বলেন, “এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়৷ কোনও মন্তব্য করব না৷ যা জানতে চান, জেলাশাসকের থেকে জেনে নিন৷” তবে রাতেই নিজের ওই পোস্টের উপর একটি কমেন্টে তিনি লেখেন, ‘‘ওই চেয়ার তাঁরই পাওয়া উচিত যিনি তার যোগ্য এবং উপযুক্ত পদমর্যাদাসম্পন্ন।’’
জেলাশাসক বলেন, “আমি কলকাতায়৷ কী বৈঠক ছিল জানি না৷ কোনও ফেসবুক পোস্টও দেখিনি৷ সেই পোস্টে কী, কেন লেখা হয়েছে তাও জানিনা৷ এটুকু বলতে পারি, আগে কনফারেন্স রুমে সব চেয়ারই একই ছিল৷ কিন্তু অন্যান্য প্রশাসনিক ভবনে জেলাশাসকের চেয়ার আলাদা থাকে বলে এখানেও আলাদা চেয়ারের ব্যবস্থা করি, যে চেয়ারটিতে শুধু জেলাশাসকেরই বসার কথা৷”
সৌরভবাবু অবশ্য বলেন, “জেলাশাসক না থাকায় বৈঠকের আগেই তাঁর চেয়ারটি কনফারেন্স রুম থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন কর্মীরা৷ তাছাড়া ফেসবুক পোস্টে আমার নাম করে বা ইঙ্গিত করে কিছু লেখা হয়নি৷ তাই আমার কিছু বলার নেই৷”