প্রতীকী চিত্র।
যমজ ‘টেস্ট টিউব বেবি’র জন্ম দিলেন মেখলিগঞ্জের এক বধূ। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে তিনি দুই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
বৃহস্পতিবার পরিবারের তরফে জানানো হয়, বিয়ের পর সন্তান না-হওয়ায় মানসিক অশান্তির মধ্যে ছিলেন দম্পতি সুদীপকুমার নন্দী এবং শম্পা নন্দী। নানা জনের পরামর্শ নিয়েছে। সেই মতো নানা পথ নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনকী, কখনও কারও পরামর্শে তাবিজ-কবচ ধারণ করার মতো নানা আচারও মেনেছেন।
তবে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য যোগাযোগও করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। বিমা সংস্থার এজেন্ট সুদীপবাবু জানান, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী শেষপর্যন্ত টেস্ট টিউব পদ্ধতিতে সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে কলকাতায় দু’একটি সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও নানা কারণে সেখানে তাঁরা চিকিৎসা করাতে পারেননি। শেষে শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডে একটি আইভিএফ সেন্টারে যান। তাদের মাধ্যমেই চিকিৎসা করিয়ে যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন শম্পাদেবী।
কী সমস্যা ছিল তাঁদের? চিকিৎসক সিন্ধুবালাদেবী, তৃণা কর্মকাররা জানান, মহিলার ডিম্বানু বা তাঁর স্বামীর শুক্রানু ঠিক ছিল। তবে শম্পাদেবীর জরায়ুর সঙ্গে যুক্ত ফ্যালোপিয়ান টিউবের একটি অংশ বন্ধ থাকায় সেই পথে পরিণত ডিম্বানু জরায়ুর মধ্যে আসতে পারছিল না। তাই টেস্ট টিউব পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাধবচন্দ্র রায় টেস্টটিউব পদ্ধতিতে ভ্রূণ তৈরির পরে তা মাতৃদেহে প্রতিস্থাপন করেন। ওই কেন্দ্রের ডিরেক্টর রামকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘কলকাতায় গিয়ে বা বাইরে গিয়ে যাঁরা চিকিৎসা করাতে পারছেন না, তাঁদের অনেকেই আমাদের কাছে আসছেন।’’ প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে আর এক প্রসূতিও একই ভাবে তাঁদের কেন্দ্রে চিকিৎসা করিয়ে এক দুই দিনের মধ্যে যমজ সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন বলে জানান।
তাই কলকাতা ছাড়াও উত্তরবঙ্গেই সন্তানহীন দম্পতিদের আশ্রয়ের সন্ধান মিলল বলে মনে করছেন অনেকে।