Bad Road

চোখে জল! সুকান্তের দত্তক নেওয়া গ্রামে খারাপ রাস্তার ‘দেহ’ নিয়ে শেষযাত্রায় শামিল বাসিন্দারা

বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই গ্রামটি দত্তক নিয়েছিলেন। সাংসদের অর্থ বরাদ্দ সত্ত্বেও এই গ্রামেরই একটি রাস্তা গত ১০ বছর ধরে সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:১৪
Share:

রাস্তার অন্তেষ্টিতে শামিল গ্রামবাসীরা। — নিজস্ব চিত্র।

‘দেহ’ রেখেছেন তিনি। সেই ‘দেহ’ নিয়ে শেষযাত্রায় শামিল শোকে বিহ্বল গ্রামবাসীরা। মানুষ নয়, দেহটি একটি রাস্তার! বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দত্তক নেওয়া গ্রামের একমাত্র সংযোগকারী রাস্তা। যার অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। ‘শ্মশানযাত্রী’দের দাবি, বার বার দাবি উঠলেও প্রশাসনের ভ্রুক্ষেপ নেই। তাই ‘চোখের জলে’ দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম গ্রামের বাসিন্দারা রাস্তার অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতিবাদ জানালেন।

Advertisement

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চকরাম থেকে দুধকুড়ি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা! অভিযোগ, দীর্ঘ ১০ বছর আগে রাস্তাটি তৈরি হওয়ার পর থেকে আর এক কোদাল মাটিও পড়েনি রাস্তায়। জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত এই গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছিলেন। রাস্তা তৈরি করার জন্য নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করেছিলেন। কিন্তু রাস্তার হাল ফেরেনি। তাই বাধ্য হয়ে সেই রাস্তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে, তার অন্ত্যেষ্টিতে যোগ দিলেন বিরক্ত গ্রামবাসীরা।

চকরাম, রামপ্রসাদ, চকশ্যাম সুকাহার, নয়াপাড়া-সহ ১২ থেকে ১৩টি গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন চলাচলের জন্য এই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু রাস্তার অবস্থা যা তাতে সারা বছরই সমস্যার মুখে পড়তে হয় বাসিন্দাদের। বর্ষাকাল এলে তো কথাই নেই! ছাত্রছাত্রীদের স্কুল, কলেজ যেতে বা মুমূর্ষু রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বেগ পেতে হয়। জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি অম্বরীশ সরকার জানিয়েছেন, সাংসদ অর্থ বরাদ্দ করেছেন। সেই অনুযায়ী টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার কথা বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন