West Bengal Lockdown

শুরু কাজ, রইল প্রশ্নও

জেলায় যত সরকারি নির্মাণ চলছে তার তালিকাও হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০৪:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সাতাশ দিন পরে ফের শুরু হল একশো দিনের কাজ। জলপাইগুড়ি জেলার চারটি ব্লকে সোমবার থেকেই একশো দিনের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। বাকি ব্লকগুলিতে আজ, মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জেলার চা বাগানগুলিতে আগে থেকেই কাজ চলছে। ইঁটভাটায় কাজের অনুমতি থাকলেও এ দিন জেলার কোথাও কাজ হয়নি। মাঠে আলু তোলার কাজ অন্যান্যদিনের মতোই হয়েছে, বোরো চাষের জমিও প্রস্তুত হতে শুরু করেছে। তবে এ দিন বহু জায়গায় আনাজের সরবরাহ বন্ধ ছিল। কৃষকের ঘরে জমে আনাজ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এ দিনও। সোমবারও লকডাউন ভাঙার ছবি দেখা গিয়েছে জেলা জুড়ে। জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন বাজারে ভিড় গিজগিজ করেছে এ দিনও।

Advertisement

জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, “কোথাও লকডাউন উঠে যায়নি। যে ছাড়ের কথা বলা হয়েছে সেগুলি নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে। বাজার বা হাট আগের মতোই সামাজিক দূরত্ব মেনেই বসাতে হবে।”

জেলায় যত সরকারি নির্মাণ চলছে তার তালিকাও হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। পূর্ত দফতর এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে চলতে থাকা কাজের তালিকা চেয়েছেন জেলাশাসক। সেই তালিকা ধরে কোনও কাজ শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে বলে খবর। তবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকরা কী ভাবে যাতায়াত করবেন, খাওয়াদাওয়া ও নির্মাণ কাজের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মিলবে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। প্রশাসনের দাবি, নবান্নের নির্দেশের অপেক্ষা করা হচ্ছে।

Advertisement

জেলার চা বাগানগুলিতে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা বাগানে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। চা বাগানের যে এলাকায় পাতা ওজন হচ্ছে সেখানে দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের সেই দাগে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, কৃষি ক্ষেত্রে বেশ কিছু শিথিলতার কথা কেন্দ্রীয় নির্দেশে বলা হয়েছে। তার সব পালন করতে গেলে লকডাউন মেনে চলা সম্ভব নয় বলে প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি। যেমন চাষে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জোগাতে গেলে সারের দোকান খুলতে হবে। সেই দোকান খুললে ভিড়ের আশঙ্কা রয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “একশো দিনের কাজ জেলায় শুরু হয়েছে। নির্মাণ শিল্পেও ছাড়ের কথা বলা হয়েছে, সেক্ষেত্রে কতটা কী করা হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন