দিনদুপুরে মহিলার হার ছিনতাই

সন্ধে নামার আগেই বাড়ির সামনে থেকে এক মহিলার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির সুকান্তনগর এলাকায়। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কুণ্ডপুকুর মাঠ লাগোয়া একটি গলি থেকে বাইক আরোহী দুই যুবক ওই মহিলার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ০১:৪৫
Share:

সন্ধে নামার আগেই বাড়ির সামনে থেকে এক মহিলার হার ছিনতাইয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ির সুকান্তনগর এলাকায়। শনিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কুণ্ডপুকুর মাঠ লাগোয়া একটি গলি থেকে বাইক আরোহী দুই যুবক ওই মহিলার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। দিনের আলোয় জনবহুল এলাকায় প্রকাশ্যে বাইকে চেপে এসে হার ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দারা। শুরু হয় ক্ষোভ-বিক্ষোভ। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান স্থানীয় কাউন্সিলর দুলাল দত্ত। বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কাউন্সিলরকেও। পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছলে তাঁদের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম রমা বেরা। তাঁর স্বামী বাসুদেববাবু পেশায় সোনার ব্যবসায়ী। রমাদেবী মেয়েকে নাচের স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় পিছন থেকে তাঁর গলার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায় বাইক আরোহী ওই দুষ্কৃতীরা। তিনি বলেন, ‘‘পিছন থেকে কেউ আমার গায়ে হাত দেয়। আমি ঘুরে তাকানোর আগেই হার টেনে নিয়ে দ্রুত বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়।’’ পাশের বাড়িতে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। সেই ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসি পূর্ব মৃণাল মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছি। তার ভিত্তিতে তদন্ত করে দ্রুত অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তবে পুলিশি টহলদারি নিয়মিত হয় বলে তাঁর দাবি। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন কাউন্সিলর দুলালবাবুও। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ দাবি করেছে তারা নাকি এক দুষ্কৃতীকে চিহ্নিত করেছে। আমাদের দাবি পুলিশ দ্রুত সকলকে গ্রেফতার করুক।’’ স্থানীয় অনেকেই পুলিশি ঢিলেঢালা মনোভাবকে দুষছেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপরেও এলাকায় এমন অভিযোগ ওঠায় পুলিশ আদৌও সক্রিয় কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন বাসিন্দাদের। বাসিন্দাদের দাবি, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে কড়া শাস্তি না দিলে এমন প্রবণতা চলতেই থাকবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন