অত্যাচার: আটকে রেখে এ ভাবেই চলে ‘বিচার’। নিজস্ব চিত্র
খদ্দের হয়ে দোকানে ঢুকে টাকা চুরির অভিযোগে দুই মাঝবয়সী মহিলাকে বাতিস্তম্ভে বেঁধে গণপিটুনি দিতে শুরু করেন এলাকার ব্যবসায়ী-বাসিন্দাদের একাংশ।
বুধবার বিকেলে শিলিগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ঋষি অরবিন্দ রোডের ঘটনা। কয়েকজন মহিলা বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করেন বলে অভিযোগ। কাঁচি দিয়ে চুল কেটে দেন। বেঁধে মারধরের জেরে এক জনের পোশাকও কিছুটা খুলে পড়ে। প্রকাশ্যে ওই অবস্থায় হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সচেতন কয়েকজন বাসিন্দা পুলিশে তুলে দিতে চাইলেও মারধর চলতে থাকে। কয়েকজন মোবাইলে সেই ছবিও তুলতে থাকে এবং মারধরে উৎসাহ দেয়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই দুই মহিলাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা করে। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এলাকার কাউন্সিলর নান্টু পাল জানান, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন না। পরে জানতে পারেন। ওই দুই মহিলা টাকা চুরি করেছেন অভিযোগে বাসিন্দারা তাদের ধরে ছিলেন। বাসিন্দাদের একাংশ জানান, দুই মহিলাকে বেঁধে মারধর করা হচ্ছিল। চুল কেটে দেওয়ার চেষ্টা হয়। শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘টাকা চুরির অভিযোগে মারধরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে। চুল কাটার বিষয়ে আমাদের জানা নেি।’’
প্রকাশ্যে এভাবে মারধরের ঘটনা নিয়ে শহরের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘চুরি করে থাকলে তাদের পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল। মহিলাদের বেঁধে মারধর, চুল কেটে দেওয়া কখনওই উচিত নয়।’’ ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তও ঘটনার নিন্দা করেছেন। গঙ্গোত্রীদেবী জানান, তিনি বলেন, ‘‘এতো আইন হাতে তুলে নেওয়া। অপরাধীকে সাজা দিতে গিয়ে তারাও অপরাধ করছেন। আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন।’’ বাসিন্দারাও যাঁরা মারধর করেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি তুলেছেন।