লোকসভা নির্বাচনে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার জগ মোহন। সেই উদ্দেশ্যে ১৫ এপ্রিল থেকেই শহরের পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ (সিআরপি), ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার ফোর্স (আইটিবিপি) এবং সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্স (সিএপিএফ) আনা হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের উত্তর দিনাজপুর, বিধাননগর এবং ব্যারাকপুর থেকে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীও আনা হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে নিজের দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এ খবর জানান পুলিশ কমিশনার।
কমিশনার বলেন, “ইতিমধ্যেই সমস্ত প্রয়োজনীয় বাহিনী শহরে চলে এসেছে। রবিবার থেকেই রুট মার্চ শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন বাকি বাহিনীও শহরে চলে এসেছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এই প্রথম লোকসভা নির্বাচন। এটা সুষ্ঠুভাবে করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির কিছুটা অংশ রয়েছে। ফলে দুটি আলাদা লোকসভা কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁদের উপরে রয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় রয়েছে মোট ৮০৭ টি বুথ। তাঁর মধ্যে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ২১৭ টি। অতি স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৫৩ টি। এলাকার সমস্ত বুথগুলিকে আলাদা আলাদা ভাগে ‘সেক্টর’ ভিত্তিকভাবে ভাগ করা হয়েছে। কয়েকটি করে বুথ নিয়ে এক একটি সেক্টর তৈরি করা হচ্ছে। যে সেক্টরগুলিতে একাধিক বুথ থাকছে তাতে সিএপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একটি সিএপিএফ দলে ১ জন পদস্থ পুলিশ কর্তা ও ২ জন আর্মড পুলিশ থাকবে। এছাড়া প্রতিটি বুথেই আর্মড পুলিশ রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার সমস্ত বাহিনীকে নির্দিষ্ট করে মোতায়েন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
শিলিগুড়ি পুলিশের হাই রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড (এইচআরএফএস) এবং কুইক রিঅ্যাকশন টিম (কিউআরটি) সারাদিনই টহল দেবে শহরে। কোথাও বেচাল দেখলেই ব্যবস্থা নেবে এই টিমগুলি। এদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র যেমন দেওয়া থাকবে, তেমনি ক্যামেরাও থাকবে সমস্ত বিষয় রেকর্ড করার জন্য। বিভিন্ন থানার নম্বর, শিলিগুড়ি পুলিশের ওয়েব সাইটে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়াও একটি টোল-ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর চালু করছে পুলিশ। ০৩৫৩-২৫১১১৯৯ নম্বরে ফোন করে যে কোনও অভিযোগ জানানো যাবে।