জিটিএ-র পর্যটক আবাসের বুকিং অনলাইনে

সব ঠিক থাকলে আগামী মাস থেকে অনলাইনেই জিটিএ-এর পর্যটক আবাসগুলির ‘বুকিং’ পাওয়া যাবে। অনলাইন বুকিংয়ের জন্য নতুন ওয়েবসাইট তৈরি কাজও প্রায় শেষের পথে বলে জানানো হয়েছে। পাহাড়ের কালিম্পং, কার্শিয়াং ও দার্জিলিং, মিরিক, দুধিয়া, সুখিয়াপোখরি, লাভা, গরুবাথান, রেলি ও কাফের এলাকায় জিটিএ-এর ১২টি পর্যটক আবাস রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৪ ০৩:১৭
Share:

সব ঠিক থাকলে আগামী মাস থেকে অনলাইনেই জিটিএ-এর পর্যটক আবাসগুলির ‘বুকিং’ পাওয়া যাবে। অনলাইন বুকিংয়ের জন্য নতুন ওয়েবসাইট তৈরি কাজও প্রায় শেষের পথে বলে জানানো হয়েছে। পাহাড়ের কালিম্পং, কার্শিয়াং ও দার্জিলিং, মিরিক, দুধিয়া, সুখিয়াপোখরি, লাভা, গরুবাথান, রেলি ও কাফের এলাকায় জিটিএ-এর ১২টি পর্যটক আবাস রয়েছে। এতদিন জিটিএ-র অফিসে গিয়েই পর্যটক আবাসগুলি বুক করতে হতো। সে ক্ষেত্রে পাহাড়ের তিন মহকুমা এবং কলকাতা ছাড়া পর্যটকদের অন্যত্র বুক করার সুযোগ মিলত না। এ বার অনলাইনে বুকিং চালু হলে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকেই বুকিংয়ের সুযোগ মিলবে।

Advertisement

জিটিএ-এর পর্যটনের নির্বাহী অধিকর্তা সোনম ভুটিয়া বলেন, “সমস্ত পর্যটক আবাসের বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করা হয়েছে। সেগুলি সবই ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হবে। আশা করছি আগামী মাস থেকেই অনলাইন বুকিং শুরু করে দেওয়া যাবে।” জিটিএ-সূত্রে জানা গিয়েছে, হায়দ্রাবাদের একটি সংস্থাকে দিয়ে অনলাইন বুকিংয়ের পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে। একসময়ে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণে থাকা পর্যটক আবাসগুলি এখন জিটিএ-র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জিটিএ-র পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, গরুবাথানের পারিজাত লজে ১২টি ঘর রয়েছে। লাভার পর্যটন আবাসে দু’টি কটেজে চারটি ঘর রয়েছে। কালিম্পঙের ডেলোতে ২০টি ঘর এবং কাফেতে ১১ ঘরের পর্যটন আবাস রয়েছে। চিত্রেতে রাস্তার পাশে ধাবার আদলে একটি অতিথি নিবাস রয়েছে। দার্জিলিঙের ম্যাপল পর্যটন কেন্দ্রে ১১টি এবং মিরিকের সুইস কটেজে ১২টি ঘর রয়েছে। এগুলি ছাড়াও অন্য সব অতিথি নিবাসেই অনলাইন পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জিটিএ জানিয়েছে। শুধু অনলাইন বুকিং নয়, ওয়েবসাইটে জানা যাবে দার্জিলিঙের পর্যটন নিয়ে নানা তথ্যও। জিটিএ পর্যটন বিভাগের আধিকারিক দীপককুমার লোহার বলেন, “পুরো ওয়েবসাইটটি হায়দরাবাদের একটি সংস্থাকে দিয়ে করানো হচ্ছে। বুকিংয়ের পাশাপাশি এলাকা ও লজগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকবে। তাতে এলাকার চা বাগান, টয় ট্রেন, মনেস্ট্রি, ট্রেকিং রুট, সংস্কৃতি সম্পর্কেও তথ্য মিলবে।” ওয়েবসাইট থেকে সান্দাকফুতে থাকা ১০টি ‘ট্রেকার্স হাটে’র সম্পর্কেও তথ্য মিলবে। তবে এগুলির জন্য আপাতত অনলাইনে বুকিং চালু হচ্ছে না। আগামী দিনে সে সুযোগও মিলবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন