জাল সইয়ে টাকা তোলার অভিযোগ

উচ্চ মাধ্যমিক পাশ এক ছাত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা সই জাল করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই এক প্রতিবেশী ছাত্রীর বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কের দাবি, সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সই জাল করে টাকা তুলে নেওয়ার সময়কার দৃশ্য। যে ছাত্রীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ উঠেছে, সে নিজেও এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। ব্যাঙ্কের তরফে অবশ্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়নি। পুলিশ বিষয়টি জানলেও লিখিত অভিযোগ না থাকায় তদন্ত শুরু করেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৪ ০২:৪২
Share:

উচ্চ মাধ্যমিক পাশ এক ছাত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা সই জাল করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই এক প্রতিবেশী ছাত্রীর বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কের দাবি, সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সই জাল করে টাকা তুলে নেওয়ার সময়কার দৃশ্য। যে ছাত্রীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ উঠেছে, সে নিজেও এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেছেন। ব্যাঙ্কের তরফে অবশ্য পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়নি। পুলিশ বিষয়টি জানলেও লিখিত অভিযোগ না থাকায় তদন্ত শুরু করেনি।

Advertisement

কোচবিহারের মাথাভাঙায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গোলকগঞ্জ শাখায় ঘটনাটি ঘটে। ব্যাঙ্কের শাখার ম্যানেজার শিবশঙ্কর দাস বলেন, “প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনা পরিষ্কার হয়। অভিযুক্ত মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছি, সে টাকা ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। তাই পুলিশে অভিযোগ করিনি। আশা করছি, আজ সোমবার বিষয়টি মিটে যাবে।”

ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, ২০১২ সালের ২৯ অগষ্ট নিশিগঞ্জের কোদালধোওয়া গ্রামের বাসিন্দা জোরপাটকি হাইস্কুলের ছাত্রী রেখা বর্মন ব্যাঙ্কের গোলকগঞ্জ শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট করেন। ওই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে স্কলারশিপের টাকা লেনদেন করতেন। মাস দুয়েক আগে তাঁর ওই অ্যাকাউন্টে কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা জমা হয়। খবর পেয়ে গত ১১ জুন রেখা টাকা তুলতে ব্যাঙ্কে যান। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে তাঁর টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। তাঁর বাবা হিতেন বর্মনের অভিযোগ, “ব্যাঙ্কের তরফে প্রথমে অভিযোগ মানাই হচ্ছিল না। প্রায় দশ দিন ধরে প্রতিদিন ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকার দাবি করে মেয়ে। তার পরে ব্যাঙ্কের লোকজন নড়েচড়ে বসে।”

Advertisement

শনিবার বিষয়টি জানাজানি হয়। ক্ষোভে বাসিন্দারা ওই ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। বাসিন্দাদের দাবি, চাপে পড়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়। নথি ঘেঁটে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন, গত ২৯ মে ওই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রেখার প্রতিবেশী উচ্চ মাধ্যমিক পাশ আরেক ছাত্রী সই জাল করে ওই টাকা তুলে নিয়েছেন। রাতেই ওই ছাত্রীর বাড়িতে যোগাযোগ করেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

রেখার বাবা হিতেনবাবু দিনমজুরি করে সংসার চালান। এবার মাথাভাঙা কলেজে ভর্তি হওয়ার পরিবারের টাকা দরকার। তৃণমূল শ্রমিক নেতা আলিজার রহমান বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিক পাশ এক ছাত্রী কি করে সই জাল করে টাকা তোলার সাহস পায়? এর পিছনে আরও অনেকে থাকতে পারে। পুলিশকেও আমরা বিষয়টি দেখতে বলব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement