জনজাতি স্বীকৃতি আদায়ে দিল্লি যাবেন বিমল গুরুঙ্গ

সংসদের আগামী অধিবেশনেই দার্জিলিঙের ১১টি সম্প্রদায়কে জনজাতি স্বীকৃতি দেওয়ার বিল আনার তদ্বির করতে দিল্লি যাওয়ার কথা জানালেন জিটিএ-এর চিফ বিমল গুরুঙ্গ। আগামী ২৭ অগস্ট ১১টি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়েই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৪ ০২:০০
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

সংসদের আগামী অধিবেশনেই দার্জিলিঙের ১১টি সম্প্রদায়কে জনজাতি স্বীকৃতি দেওয়ার বিল আনার তদ্বির করতে দিল্লি যাওয়ার কথা জানালেন জিটিএ-এর চিফ বিমল গুরুঙ্গ। আগামী ২৭ অগস্ট ১১টি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের নিয়েই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সম্প্রদায়গুলির মিলিত মঞ্চ গোর্খা জনজাতি কল্যান সমিতির উদ্যোগে গোর্খা রঙ্গ মঞ্চে এক সভায় দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় জনজাতি কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী সহ অনান্য মন্ত্রীদের কাছে তদ্বির করাবেন বলে গুরুঙ্গ জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে এ দিন রাজ্য সরকারকেও কটাক্ষ করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি গুরুঙ্গ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের তিনি বলেন, “জিটিএ চুক্তিতেই ১১টি সম্প্রদায়ের জনজাতি স্বীকৃতির কথা উল্লেখ রয়েছে। সে কারণেই বিষয়টি কেন্দ্রকে জানাতে রাজ্য সরকার বাধ্য হয়েছে। তবে অন্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে তুলনা করে নিজেরা বিবাদ করবেন না, বাংলার সরকার এমনটাই চায়।”

Advertisement

কেন্দ্রের জনজাতি কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী জুঁয়েল ওরামের সঙ্গে গত ১২ অগস্ট দেখা করে এ বিষয়ে দাবিপত্র জমা দিয়েছেন। গুরুঙ্গ জানিয়েছেন, সে সময়ে মন্ত্রী তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন। সংসদের আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই সংশ্লিষ্ট বিলটি পেশ হওয়ার বিষয়ে আশ্বাস মিলেছে বলেও মোর্চা প্রধান জানিয়েছেন। জিটিএ জানিয়েছে ভুজেল, গুরুঙ্গ, মঙ্গর, নেওয়ার, যোগী, খাস, রাই, সোনওয়ার, থামি, দেওয়ান, ডিমাল সম্প্রদায়কে জনজাতি স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।

আগামী ২৯ অগস্ট দিল্লিতে গোর্খা ভবনের শিলান্যাস হবে বলেও এ দিন জানানো হয়েছে। ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবন দেড় বছরের মধ্যে শেষ হবে বলেও জিটিএ-এর তরফে জানানো হয়েছে। তৃণমূলের পাহাড় কমিটির নেতারা গুরুঙ্গের এ দিনের বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার সব সম্প্রদায়কে একসঙ্গে নিয়েই উন্নয়নের কাজ করতে চাইছে। রাজ্য সরকারই সম্প্রদায়গুলির জন্য উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement