একটি ছোট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তার খাদে পড়ে যাওয়ায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন গাড়ির চালক। সোমবার রাতে কালিম্পং শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রম্ভি ফাঁড়ির ৩১-এ জাতীয় সড়কের ২৭ মাইল এলাকায় গাড়িটি রাস্তা থেকে প্রায় ২০০ ফুট নীচে পড়ে গিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় (৩৪) এবং রাজেশ সিংহ (৩০)। পার্থবাবুর বাড়ি হুগলির কোন্নগরে এবং রাজেশবাবুর বাড়ি পুরুলিয়ার নডিহায়। তাঁরা দু’জনই একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী ছিলেন। দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি এলাকায় মোবাইলের টাওয়ারের কাজকর্ম দেখতে এসেছিলেন তাঁরা। গত রবিবার তাঁরা দার্জিলিং যান। সেখান থেকে পাতলেবাস হয়ে তাঁরা মেল্লি যান। সেখান থেকেই ছোট গাড়িটি করে শিলিগুড়ি ফিরছিলেন। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদী জানান, ঠিক কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটল, তা দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনাটি রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ঘটে। জাতীয় সড়কে তখন উল্টো দিক থেকে একটি ট্রাক আসছিল। ছোট গাড়ির চালকের চোখে আলো পড়তেই তিনি রাস্তার একপাশে গাড়িটি নিয়ে যেতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। রাস্তার ধারের রেলিং ভেঙে গাড়িটি খাদে পড়ে। পার্থবাবু ও রাজেশবাবু ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালককে গুরুতর জখম অবস্থায় কালিম্পং সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুরুলিয়ার নডিহার কমল পান্ডে লেনে বাড়ি রাজেশবাবুর। সেখানে শোকের ছায়া। তাঁরা পাঁচ ভাই। বাবা মারা গিয়েছেন বছর দশেক আগে। রাজেশবাবু ছাড়া তাঁর আরও দু’ভাই শিলিগুড়িতেই থাকতেন। এক ভাই থাকেন পুরুলিয়ায়, এক ভাই দিল্লিতে। তাঁর বৃদ্ধা মাকে দুর্ঘটনার কথা জানানো হয়নি। তাঁদের বাড়ির পাশেই রাজেশবাবুর মামাবাড়ি। তাঁর মামা ইজরায়েল মির বলেন, “রাজেশের দু’ভাই শিলিগুড়িতে থাকে। ওদের থেকেই দুর্ঘটনার কথা জানি। দিদিকে এখনও কিছু জানানো হয়নি।” খবর দেওয়া হয়েছে পার্থবাবুর বাড়িতেও।