আসন্ন দোল উত্সবের দিনগুলিতে বেসামাল হলে বা আবেগ মাত্রাছাড়া হলে রাতে থানার লকআপে থাকতেও হতে পারে! এই সতর্কবার্তা শুনিয়েছেন শিলিগুড়ি পুলিশের কর্তারা। আনন্দের উত্সবকে শান্তিপূর্ণ রাখতে সমস্ত রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রবিবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ দোল উত্সবকে শান্তিপূর্ণ রাখতে বৈঠকে বসছেন শিলিগুড়ি পুলিশের কর্তারা। সেখানেই ঠিক হবে হোলির দু’দিন শহরবাসী কী করবেন আর কী করবেন না। জানানো হবে ‘গাইড লাইন’। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ছাড়াও সমস্ত ডিসি, এসিপি-সহ থানার অফিসারেরা।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার বলেন, “আগামী ৩ মার্চ বৈঠকের পরেই চূড়ান্ত নির্দেশিকা জারি করা হবে। সমস্ত থানা এবং সংবাদ মাধ্যমকেও ওই নির্দেশিকা জানানো হবে। শহরবাসীর কী কী নির্দেশ পালন করতে হবে, তার ধারণা পরিস্কার করে দেওয়য়া হবে। থানাগুলোতেও তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হতে পারে।” আগামী ৫ মার্চ দোল। পরেরদিন, রঙের হোলি।
পুলিশ সূত্রের খবর, বাইকে চড়ে যাতায়াতের উপরে দু’দিন কড়াকড়ি করতে চলেছে। একটি বাইকে দুজনের বেশি উঠলেই পুলিশ কর্মীরা ব্যবস্থা নেবেন। হেলমেটবিহীন চালকদের লাইসেন্সও সাময়িক বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও জারি হতে পারে। এছাড়া কাউকে জোর করে রং দেওয়ার অভিযোগে কেউ গ্রেফতার হলে তাকে কমপক্ষে এক রাত হাজতবাস করতে হতে পারে। হোলির দু’দিন প্রতিবছরই পানশালা ও মদের দোকানগুলি বন্ধ থাকে। এবারও সেই নির্দেশ জারি থাকবে। সেই সঙ্গে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। মোবাইল টহলদারি ভ্যানগুলি তুলনামূলক বেশি শহরে ঘুরবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত পুুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা থাকবে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ও বিশেষ করে ছোট গলিতেও।
কিছুদিন আগে পুলিশ ব্যবহার শুরু করেছে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’। সেগুলিকেও কাজে লাগানো হবে শহরে বেশ কিছু মোড়ে। নির্দিষ্ট পরিমাপের থেকে বেশি মদ্যপান করলে ওই যন্ত্রে তা ধরা পড়ে। সেখানে ফাইন-সহ বিভিন্ন আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারেরা। এবারও নজরদারি চলছে রঙের মানের উপরেও।