দেড় মাসেও খোঁজ নেই বধূর, ক্ষোভ

এক বধূর নিখোঁজ হওয়ার পরে দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তার তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে রায়গঞ্জ শহরে। সোমবার রায়গঞ্জ থানায় গিয়ে তা নিয়ে ক্ষোভ জানান ওই বধূর স্বামী পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী দুলাল বিশ্বাস। এলাকার তৃণমূল নেতা তপন নাগও থানায় দুলালবাবুর সঙ্গে যান। দুলালবাবু বলেন, “দেড় মাস হয়ে গেল স্ত্রীর খোঁজ পাচ্ছি না। তাই এলাকার তৃণমূল নেতাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। জানি না কবে পুলিশের তদন্ত শেষ হবে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৩১
Share:

এক বধূর নিখোঁজ হওয়ার পরে দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও তার তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ দানা বাঁধছে রায়গঞ্জ শহরে। সোমবার রায়গঞ্জ থানায় গিয়ে তা নিয়ে ক্ষোভ জানান ওই বধূর স্বামী পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী দুলাল বিশ্বাস। এলাকার তৃণমূল নেতা তপন নাগও থানায় দুলালবাবুর সঙ্গে যান। দুলালবাবু বলেন, “দেড় মাস হয়ে গেল স্ত্রীর খোঁজ পাচ্ছি না। তাই এলাকার তৃণমূল নেতাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। জানি না কবে পুলিশের তদন্ত শেষ হবে।” উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “পুলিশ ওই বধূকে উদ্ধারের ব্যাপারে সবরকম পদক্ষেপ করছে।” তৃণমূল নেতা তপনবাবুর মতে, “পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত করলে এতদিন ওই গৃহবধূ নিখোঁজ থাকতেন না।” দুলালবাবুর দাবি, স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি নিখোঁজ ডায়েরি সহ স্ত্রী’র মোবাইল নম্বর পুলিশের কাছে জমা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “পুলিশ স্ত্রীর মোবাইলের কললিস্ট বার করে উপযুক্ত তদন্ত ও অবস্থান উদ্ধার করলে অনেক আগেই রহস্যের সুরাহা হতো।”

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ওই বধূর নাম সাথী বিশ্বাস। রুপাহার এলাকারই বাসিন্দা সাথীদেবীর সঙ্গে প্রায় ১৩ বছর আগে দুলালবাবুর বিয়ে হয়। তাঁদের ৪ ও ১১ বছর বয়সী দুই ছেলেও রয়েছে। দুলালবাবুর অভিযোগ, গত ১৯ অগস্ট ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর স্ত্রী বাড়ির সামনের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রাতর্ভ্রমণ করার সময়ে নিখোঁজ হয়ে যান। বহু খোঁজাখুজি করেও স্ত্রীর হদিস না পেয়ে ওই দিন বিকেলে তিনি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। দুলালবাবুর দাবি, গত ২১ অগস্ট স্ত্রীর মোবাইল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে হুমকি দিয়ে স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে বলেন। তার পর থেকে স্ত্রী-র মোবাইল বন্ধ হয়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, শেষবার ফোনটি করা হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর এলাকা থেকে। সেই সবাদে পুলিশ দিঘা গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ফিরে এসেছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন