ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্তকে ধরা হোক, চাঁচলে দাবি মিছিলে

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ বাদেও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। তারই প্রতিবাদে পথে নামলেন মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামের ওই ছাত্রীর স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারা। ধিক্কার মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়ে এ দিন এসডিপিও ও মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত ঘটনার কিনারা করার দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:১১
Share:

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামল চাঁচলের কলিগ্রামের ওই ছাত্রীর স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র।

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার এক সপ্তাহ বাদেও অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। তারই প্রতিবাদে পথে নামলেন মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামের ওই ছাত্রীর স্কুলের শিক্ষক-পড়ুয়ারা। ধিক্কার মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়ে এ দিন এসডিপিও ও মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত ঘটনার কিনারা করার দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

Advertisement

নিহত ছাত্রীর স্কুলের ছাত্র-শিক্ষকেরা তো বটেই, মঙ্গলবার কালো ব্যাজ পরে শিক্ষক পড়ুয়াদের ওই মিছিলে হাজির ছিলেন কলিগ্রাম অঞ্চলের ১০টি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা। খুনিকে ধরার দাবিতে ওই মিছিলে ছিলেন নিহত ছাত্রীর পরিজনেরাও। ঘটনার পর সপ্তাহ পার হলেও অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় বাধ্য হয়েই তাঁদের পথে নামতে হয়েছে বলে স্কুলগুলির তরফে জানানো হয়েছে। কারণ, ওই ঘটনার পরে পড়ুয়ারা ও অভিভাবকরাও আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। চাঁচলের মহকুমাশাসক পোন্নমবলম এস বলেন, “অভিযুক্ত যাতে দ্রুত ধরা পড়ে সেই বিষয়টি পুলিশকে দেখতে বলা হয়েছে। বালিকার পরিবারকে প্রশাসনের তরফে যাতে সাহায্য করা যায় তাও দেখা হচ্ছে।” চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “ওই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে যা যা করা প্রয়োজন সব কিছুই করা হয়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই অভিযুক্ত ধরা পড়বে।”

কলিগ্রাম একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা রিকশাচালক। এক সপ্তাহ আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে বছর আটেকের ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে খড় আনতে যায় তারা। সেখানে সাইকেল আরোহী এক ব্যক্তি বালিকাকে জানায় তার স্কুলে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এর পরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সাইকেলে চেপে চলে যায় ছাত্রীটি। পর দিন দুপুরে হরিশ্চন্দ্রপুরের লক্ষণপুর এলাকার একটি কলাবাগান থেকে বালিকার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। বালিকার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও গলায় কালশিটে দাগ ছিল। ধর্ষণের পর নির্যাতন করে ওই বালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে পুলিশ সূত্রেই জানা যায়।

Advertisement

ওই ঘটনার পর এক সপ্তাহ গড়ালেও অভিযুক্ত ধরা না পড়ায় এলাকা জুড়েই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরাও। তার পরেই এ দিন পথে নামেন সকলে। শিক্ষকের সঙ্গে ছিল খুদে পড়ুয়ারাও। সকালে ছাত্রীর স্কুলের সামনে থেকে মৌন মিছিল শুরু হয়। সেখান থেকে তারা দু’কিলোমিটার দূরে চাঁচলে এসে প্রথমে এসডিপিওর কাছে যান। পরে মহকুমাশাসকের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান। ছাত্রীর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ডলি দাস বলেন, “যা ঘটেছে ভাবতেই শিউরে উঠছি। এমন ঘটনায় যে জড়িত তাকে গ্রেফতার সহ শাস্তির দাবিতে আমরা পথে নেমেছি। দ্রুত ব্যবস্থা না হলে ফের পথে নামব।”

মিছিলে আসা ভগবতীপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক বামনদেব রায়, শিক্ষক গৌতম সাহা একযোগেই বলেন, “আমরা ঘটনার প্রতিবাদে ধিক্কার জানাতেই পথে নেমেছি। দ্রুত ঘটনার কিনারা হোক সেই দাবি জানিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন