চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে মালদহের চাঁচলে। একদিন নিখোঁজ থাকার পর চাঁচলের ওই বালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের লক্ষ্মণপুর এলাকা থেকে। বুধবার বিকালে একটি কলাবাগান থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। স্কুল থেকে বিলি করা টাকা নিতে যাওয়ার কথা বলে ফুঁসলে ওই বালিকাকে এক সাইকেল আরোহী মঙ্গলবার তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা দেহটি দেখে পুলিশে খবর দেন। বালিকার মাথায় আঘাতের চিহ্ন ও গলায় কালশিটের দাগ ছিল। চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “ওই বালিকাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তদন্ত শুরু করেছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বালিকার বাবা রিকশাচালক। মঙ্গলবার দুপুরে বছর আটেকের ভাইকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে খড় আনতে যায় তারা। সেখানে সাইকেল আরোহী এক ব্যক্তি বালিকাকে জানায় তার স্কুলে টাকা দেওয়া হচ্ছে। সে স্কুল থেকে তার মেয়ের টাকা নিয়ে এসেছে বলে বালিকাকে বলে। তার বাবাও তাকে স্কুলে নিয়ে যাবে বলে হাসপাতালের সামনে অপেক্ষা করছে জানানোর পর বালিকা ওই ব্যক্তির সাইকেলে উঠে পড়ে।
ছেলে একা বাড়িতে ফেরার পর তার কাছে ঘটনার কথা জানতে পেরে মেয়ের খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। রাতে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। বাড়ি থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দেহটি মিলেছে। তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্ত পরিবারের খুবই পরিচিত। তাই বালিকা সহজেই তার সঙ্গে চলে যায়। এবার ওই এলাকায় তাকে খুন করা হয়েছে। না কী অন্য কোথাও মেরে সেখানে ফেলা হয়, তা দেখা হচ্ছে। মাফলার দিয়ে মুখের অনেকটাই ঢাকা থাকায় বালিকার ভাই অভিযুক্তের পরিচয় ঠিকঠাক বলতে পারেনি। তবে তাকে দেখলে সে চিনতে পারবে বলে জানিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, যে এলাকা থেকে বালিকাকে অপহরণ করা হয়, সেখানে মাঠে দেশি মদের একটি ঠেক রয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সমাজবিরোধীদের আনাগোনা থাকে। চাঁচল রাজবাড়ি পাশেই। তার পরেও পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয় না, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। বালিকার বাবা বলেন, “আমার সঙ্গে কারও শত্রুতাও নেই। তার পরেও এমন হল। অভিযুক্তের কড়া সাজা চাই।”
এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বাহারাম খান বলেন, “দেশি মদের ঠেকের পাশ থেকেই বালিকাকে অপহরণ করা হয় বলে মেয়েটার ভাই জানিয়েছে। আমরাও পুলিশকে দ্রুত অভিযুক্তকে সনাক্ত করে ধরতে বলেছি।”