জলদাপাড়া কাণ্ড

বাংলো পোড়ানোর তদন্ত নিয়ে উদ্বেগ বন দফতরেই

বন বাংলো পোড়ানোর ঘটনায় ১৫ জনের নামে অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কেন এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি তা নিয়ে বন দফতরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার ‘ভিডিও ফুটেজ’ খুঁটিয়ে দেখে কেন পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে উদ্যোগী হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে স্পষ্ট জবাব দেয়নি পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া কেবল বলেন, “তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

জলদাপাড়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৪ ০২:৫২
Share:

বন বাংলো পোড়ানোর ঘটনায় ১৫ জনের নামে অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কেন এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি তা নিয়ে বন দফতরের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার ‘ভিডিও ফুটেজ’ খুঁটিয়ে দেখে কেন পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে উদ্যোগী হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে স্পষ্ট জবাব দেয়নি পুলিশ। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া কেবল বলেন, “তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে।”

Advertisement

তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বন দফতরও উদ্বিগ্ন। তাই গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা থাকলেও তা আপাতত স্থগিত করেছে বন দফতর। উত্তরবঙ্গের প্রধান বনপাল বিপিন সুদ বলেছেন, “আমাদের বন বাংলো পুড়িয়েও অফিসারদের মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। এখনই আমাদের পক্ষে আপাতত বৈঠকে বসা সম্ভব নয়। পুরো ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে। তাই আমরা বৈঠক বাতিল করেছি।” বাসিন্দারা অবশ্য চাইছেন, বন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে। শুধু তাই নয়, বন বাংলো পোড়ানোর ঘটনায় কেউ যুক্ত বলে প্রমাণিত হলেও কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবিতে সহমত হয়েছেন অনেক বাসিন্দাই। কিন্তু, প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলতে চাইছেন না।

বুধবার বন বাংলো পোড়ানোর ঘটনায় ১৫ জনের নামে আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত আরও বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করেছেন অফিসাররা। গ্রামের বিভিন্ন সূত্র থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের নাম জোগাড় করে ফেলেছেন বন দফতরের অফিসারেরা। দু’য়েক দিনের মধ্যে ফের পুলিশের কাছে নতুন করে অভিযুক্তদের নামের তালিকা জমা দেবে। তবে নিরীহ গ্রামবাসীর নাম যাতে তালিকায় না থাকে তা দেখার জন্য অবশ্য কর্তারা অফিসারদের নির্দেশ দেন।

Advertisement

সঞ্জয় বর্মন নামে যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনার সূত্রপাত, সেই কিশোরের ঠাকুর্দা অবশ্য বন দফতরের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই বলে লিখিত ভাবে বন দফতরের কাছ জানিয়ে দেন। বন দফতরের অফিসারেরা জানান, জাতীয় উদ্যান ঘোষণার পরে জঙ্গলের পথ অবাধে ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে গ্রামবাসীর অসুবিধার কথা ভেবে বিশেষ পারমিট দেবার চিন্তা ভাবনা করছিল তাঁরা। এমনকী, বাসিন্দাদের দাবি অনুযায়ী জঙ্গলের বিকল্প পথ খুলে দেওয়ার জন্যেও কর্তাদের কাছে রিপোর্ট পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু করেন তাঁরা। বাংলো পুড়িয়ে অফিসারদের মারধরের ঘটনার পর তা বাতিল হয়ে যায় বলে বন দফতর সূত্রে খবর।

আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন

নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

জলদাপাড়ায় বনবাংলো পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় পর্যটকদের আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানালেন জলদাপাড়া এলাকার পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষ জন। শনিবার শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান সেন্ট্রাল ডুয়ার্স ইকো ট্যুরিজম ইনফরমেশন সেন্টারের সদস্যরা। এই তথ্যকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত ৬ টি সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট গাইড, জিপসি চালক, হোটেল মালিক থেকে ট্যক্সি চালকরা সমবেত আবেদন রাখেন বাইরের পর্যকদের কাছে। সংগঠনের সদস্য রাজ বসু বলেন, “সমস্যা বন দফতর মিটিয়ে ফেলেছে। আপাতত কোনও সমস্যা নেই।” আরও বেশি করে পর্যটকরা হাজির হতে পারেন বলে আশ্বাস দেন অন্যতম সদস্য বিশ্বজিত সাহা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন