দু’বছর আগে চালু হয়েছিল কুমারগ্রামের একমাত্র পেট্রোল পাম্প। কিন্তু মাস ছয়েক চালু থাকার পরেই দুই মালিকের বিবাদের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাম্পটি। ফলে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে রীতিমত বিপাকে পড়েছেন এলাকার মানুষ। গত দেড় বছর ধরে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দশ হাজারের বেশি কৃষক, গাড়ি চালক, চালের মিল ও তিনটি চা বাগান কর্তৃপক্ষকে জ্বালানি সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাম্প বন্ধ থাকায় পেট্রোল ও ডিজেলের রীতিমত কালোবাজারি চলছে। বেশি দামে জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, দুই মালিকের মধ্যে আয়ের হিসাব নিয়ে বিরোধে পাম্পটি বন্ধ হয়ে যায়। দুই মালিককে বিরোধ মেটাতে সংশ্লিষ্ট তেল সরবরাহকারী সংস্থার তরফে কয়েকবার চিঠি দেওয়া হলেও পাম্প চালুর ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ। বাসিন্দা ও চাষিদের অভিযোগ, চাষের জমিতে জল দেওয়ার জন্য পাম্প চালাতে গিয়ে বেশি দামে ডিজেল কিনতে হচ্ছে। বাসিন্দাদেরও একই হাল। নয়তো ৩০ কিমি দূরে বারবিশা পাম্প থেকে তেল আনতে হচ্ছে। এরজন্য খরচ বেশি হচ্ছে। পাম্পটির দুই মালিক প্রফুল্ল রায় এবং মহেশ রায় আলাদা আলাদাভাবে জানান,আয়ের হিসাব নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তা সুষ্ঠুভাবে না মেটা অবধি পাম্প চালু করা সম্ভব নয়।
২০১২ সালে ব্লকের কুমারগ্রাম বাজার সংলগ্ন এলাকায় পেট্রোল পাম্পটি চালু হয়। বাসিন্দাদের মতই বিপাকে পাম্পের চার কর্মীরও। কাজ হারিয়ে তাঁরা সমস্যা দিন কাটাচ্ছেন। কুমারগ্রামের বিডিও শিলাদিত্য চক্রবর্তী বলেন, “পাম্পটি বন্ধ হয়ে থাকায় সমস্যা হচ্ছে ঠিকই। এই এলাকায় আর কোনও পেট্রোল পাম্প নেই। আমরা সংশ্লিষ্ট তেল সরবরাহকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।”