মূক-বধিরকে ধর্ষণ, পড়শি পলাতক

বিস্কুট ও চানাচুরের লোভ দেখিয়ে মূক ও বধির এক বালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের সময়ে অভিযুক্ত ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলায় ওই বালিকার বাবা-জ্যাঠা-কাকাকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবার বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০৭
Share:

বিস্কুট ও চানাচুরের লোভ দেখিয়ে মূক ও বধির এক বালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের সময়ে অভিযুক্ত ওই যুবককে হাতেনাতে ধরে ফেলায় ওই বালিকার বাবা-জ্যাঠা-কাকাকে মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত যুবক ও তার বাবার বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ থানার ছত্রপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বুধবার দুপুরে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে পেশায় দিনমজুর ওই বালিকার বাবা কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে ধর্ষণ ও মারধরের দুটি অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত বছর বাইশের ওই যুবক সীতারাম ও তার বাবা খগেন্দ্রনাথ রায় দিল্লিতে দিনমজুরি করে। সোমবার রাতেই খগেন্দ্রনাথ অভিযোগকারিণী বালিকার বাবা, দাদা ও খুড়তুতো ভাইয়ের নামে কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়িতে মারধরের একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সব মিলিয়ে তিনটি মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এ দিন বিকালে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে মূক বধির ওই বালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। রায়গঞ্জের সূর্যোদয় মূক ও বধির আবাসিক হোমের স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় বালিকাটির জবানবন্দিও নথিভুক্ত করে পুলিশ। রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তী বলেছেন, “অভিযুক্ত সীতারাম নামে ওই যুবক পালিয়ে গিয়েছে।” খগেন্দ্রনাথের দাবি, “ছেলে কোথায় আছে আমি জানি না। আমরা কাউকে মারধর করিনি। ওই পরিবারের লোকেরা আমার ছেলেকে মারধর করে। আমরা পুলিশে নালিশ জানানোয় এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” বারো বছর বয়সী মূক ও বধির বালিকা আবাসিক হোমের স্কুলের পড়ুয়া। তার মা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাড়ির অদূরে দোকানে ছিলেন। তাঁর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। ছোট মেয়ে বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিল। বড় মেয়ে বাড়িতে ছিল। তাঁর অভিযোগ, সেই সময়ে সীতারাম ওই ঘরে ঢুকে মেয়েকে বিস্কুট ও চানাচুর দেখিয়ে নিজের বাড়ি ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির পেছনের বেড়া দিয়ে ঘেরা একটি ফাঁকা জায়গায় তাঁর মেয়েকে সীতারাম ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তাঁর কথায়, “বড় মেয়েকে ঘরে দেখতে না পেয়ে আমার সন্দেহ হওয়ায় সীতারামের ঘরের পিছনে গিয়ে দেখি, সে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে উঠে যাচ্ছে। সেই সময়ে আমাকে দেখেই সে পালিয়ে যায়। মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে এনে স্বামীকে গোটা ঘটনা জানাই।” তাঁরা জানান, ঘটনাটি জানার পর সীতারামের বাড়িতে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তাঁরা আক্রান্ত হন। মাথা সহ শরীরে চোট লাগায় বাসিন্দারা তাঁদের নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন