ময়নাগুড়িকে পুরসভায় উন্নীত করার বিষয়ে নবান্ন থেকে চিঠি পাঠিয়ে বেশ কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কাছে। প্রস্তাবিত পুর এলাকার মধ্যে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে কতজন কর্মী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কত জন পুরসভায় কাজ করতে সম্মত সে বিষয়ে ওই চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের যুগ্ম সচিব ওই চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক পৃথা সরকার বলেন, “কয়েকদিন আগে চিঠি পেয়েছি। ময়নাগুড়িকে পুরসভায় উন্নীত করার বিষয়ে যে তথ্য পাঠানো হয়েছিল, চিঠিতে তার কয়েকটি নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সেটা জানিয়ে দেব।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসের শুরুতে পুরসভা গঠনের বিষয়ে রাজ্য সরকার প্রথম দফায় বেশ কিছু তথ্য চায়। যদিও সম্প্রতি পাঠানো ‘ময়নাগুড়িতে একটি পুরসভা গঠনের প্রস্তাব’ শীর্ষক যুগ্ম সচিবের চিঠিতে ফের দশটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত পুরসভা এলাকার আয়তন, জনসংখ্যা, জনঘনত্ব, কত সংখ্যক বাসিন্দা অকৃষিজীবী, প্রস্তাবিত এলাকার মৌজা ও প্লট নম্বর, মানচিত্র, প্রস্তাবিত পুরসভার অনুমানিক ব্যয় এবং নিজস্ব আয় কত হতে পারে তার তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে। পুরসভা গঠনের বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির সম্মতি সূচক প্রস্তাবও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহাকরণ থেকে পুরসভার বিষয়ে প্রথমবার তথ্য জানতে চাওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে ময়নাগুড়ি, খাগরাবাড়ি-১ এবং মাধবডাঙা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭টি মৌজা নিয়ে ৬ বর্গ কিমি আয়তনের পুরসভা প্রস্তাব নগর উন্নয়ন দফতরে পাঠানো হয়। প্রস্তাবিত এলাকার জনসংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জন ঘনত্ব ছিল ৭ হাজার ৪৫৮ জন। ময়নাগুড়ি ব্লক প্রশাসনের কর্তারা পুরনো প্রস্তাব ১৮ জানুয়ারি ফের নবান্নে পাঠিয়ে দেন। যদিও প্রস্তাব পাঠানোর পরে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড চিত্র বদলেছে। প্রশাসনের নির্দেশের পরে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নিয়ে সভা করে সম্মতিসূচক লিখিত প্রস্তাব দিতে হবে ভূমি ও রাজস্ব দফতরকে দিয়ে প্রস্তাবিত পুর এলাকার নিখুঁত মানচিত্র করে আয়-ব্যয়ের হিসেব জানাতে হবে ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিকে।