তপনে পথসভায় ব্রাত্য। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি দর্জির মতো কাঁচি নিয়ে রাজ্যকে কাটতে চায় বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের চৌরঙ্গি মোড়ে বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের সমর্থনে প্রচার সভায় শিক্ষামন্ত্রী ওই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “বিজেপি সরকার গড়লে প্রথমে গোর্খাল্যান্ড করবে। তার পর কোচবিহারকে আলাদা করবে। হয়ত সুন্দরবনকে কেটে রাজ্য করে দিল। বিজেপি এখন দর্জির মত কাঁচি নিয়ে রাজ্যকে কাটতে চায়। এরপর হয়তো শিলিগুড়ি যেতে আলাদা কার্ড লাগবে।” এ দিন তপনের সভায় উপস্থিত বাসিন্দাদের শিক্ষামন্ত্রী জানান, এক সময় বিজেপি পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল। সে সময় বিহার ভাগ হয়ে ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ ভাগ হয়ে ছত্তিশগড় রাজ্য তৈরি হয়েছে। ব্রাত্য বলেন, “ইউপিএ টু ছেড়ে আসার পর বিশেষজ্ঞ বলেন, ২০১৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসের হাত ধরতে হবে। কিন্তু সে দিনই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তৃণমূল একাই লড়বে। এর পরেই সকলে একযোগ হচ্ছে। একই লোক সকালে কংগ্রেস, বিকেলে বিজেপি এবং রাতে সিপিএম হয়ে যাচ্ছে।”
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে এ দিন ছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দ্বিতীয় দফায় ভোট প্রচার। তবে শিক্ষামন্ত্রী ও দলের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে একসঙ্গে প্রচারে দেখা যায়নি। গতমাসের শেষে শিক্ষামন্ত্রী কুমারগঞ্জ ও পতিরামে দুটি সভা করেছিলেন। ওই দুটি সভাতে অর্পিতা আগেই বক্তব্য রেখে অন্য সভাগুলিতে চলে যান। ব্রাত্যবাবু পরে বলেন। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩টি জায়গায় পথসভা করেন ব্রাত্যবাবু। তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা এ দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইটাহার কেন্দ্রের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সভা করেন। ইটাহারে এ দিন সকালে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সভা করেন। অর্পিতাদেবীর প্রশংসা করে তার সমর্থনে ভোট চান ব্রাত্যবাবু। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, “ভোটের দিন এগিয়ে আসায় এলাকা ভাগ করে প্রচার করা হচ্ছে।” রাতে হিলির বিনশিরা এলাকায় পথসভায় ব্রাত্য বসু বিদায়ী আরএসপি সাংসদকে তহবিলের টাকা খরচ এবং এলাকায় ঘোরা নিয়ে কটাক্ষ করেন। তপনের পথসভার পর রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টার্চাযের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত পঞ্চায়েত ও পুর-ভোটে পর্ষদ সভাপতি মানিকবাবু আমার সঙ্গে অন্তত ১০টি প্রচারসভা করেছেন। তখন যদি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ না হয়ে থাকে বা হয়ে থাকে তবে এবারে বিধিভঙ্গ হয়েছে, কী হয়নি তা নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে। কমিশনের উপর আস্থা রাখাই ভাল।” এসএসসি টেট প্রসঙ্গে ব্রাত্যবাবু বলেন, “বিষয়টি কমিশন দেখছে।”