Mamata Banerjee

কংগ্রেস নয়, সরকার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে আঞ্চলিক দলগুলিই: মমতা

সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরই নিজের মতো করে বক্তব্য রাখার স্বাধীনতা থাকবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘‘চিন্তার কিছু নেই। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব নীতি আছে। সবারই কিছু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে। সবার কথা তুলে ধরতেই এই মহাজোট। ’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ২০:৪১
Share:

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্রিগেড পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।

ব্রিগেড সমাবেশের দু’দিন আগে কংগ্রেসকে বাদ দিয়েই বিজেপি বিরোধী মহাজোট তৈরির ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বা কংগ্রেসের থেকে আঞ্চলিক দলগুলি অনেক বেশি আসনে জিতবে বলেই তাঁর মত। সে কারণে কংগ্রেস নয়, আঞ্চলিক দলগুলিই সরকার গঠনে নিয়ন্ত্রক শক্তি হয়ে দাঁড়াবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

Advertisement

আগামী শনিবারের ব্রিগেডের সমাবেশকে ঐতিহাসিক করে তুলতে তৃণমূলের তরফে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রস্তুতিতে যাতে কোথাও কোনও ফাঁকফোকর না থাকে, তা খতিয়ে দেখতে এ দিন সন্ধ্যায় নিজেই ব্রিগেডে হাজির হন তৃণমূল নেত্রী। শনিবারের সভার প্রস্তুতি দেখার ফাঁকেই অবশ্য ব্রিগেড সমাবেশের সুরটা বেঁধে দিলেন তিনি। ব্রিগেডের মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সারা দেশে ১২৫টির বেশি আসন পাবে বলে আমার মনে হয় না। কংগ্রেস কী করবে, আমি জানি না। ফেডারেল দলগুলিই এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।’’

বিজেপি বিরোধী প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকেই ডাকা হয়েছে এই ব্রিগেড সমাবেশে। এই সমাবেশে অংশ নিচ্ছে কংগ্রেসও, কিন্তু রাহুল গাঁধী নয়, কংগ্রেসের তরফে ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন মল্লিকার্জুন খড়্গে। অনুপস্থিতির তালিকায় আর এক উল্লেখযোগ্য নাম বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। যদিও তিনি মমতার ব্রিগেড সমাবেশে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। থাকছেন না ওড়িশার বিজু জনতা দলের নবীন পট্টনায়ক এবং তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও।

Advertisement

আরও পড়ুন: পাঁচ জনসভা হচ্ছেই, বার্তা অমিত শাহের, শীর্ষনেতারা ছুটলেন জেলায় জেলায়

এই ব্রিগেড সমাবেশকে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দিয়েছেন ইউনাইটেড ইন্ডিয়া বা ঐক্যবদ্ধ ভারতের সমাবেশ। সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরই নিজের মতো করে বক্তব্য রাখার স্বাধীনতা থাকবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, ‘‘চিন্তার কিছু নেই। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব নীতি আছে। সবারই কিছু রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে। সবার কথা তুলে ধরতেই এই মহাজোট। ’’

আরও পড়ুন: দলত্যাগীরা ব্রিগেডে, অস্বস্তিতে কংগ্রেস

ব্রিগেড সমাবেশে ভারতীয় রাজনীতির বহু তারকা এবং মহাতারকাকে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে আছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল, এসপি নেতা এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রধান ফারুক আবদুল্লা, শরদ পওয়ার এবং লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদবকে।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন