— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাজ্যের অন্য অনগ্রসর সম্প্রদায় (ওবিসি) শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলার শুনানি হল না সুপ্রিম কোর্টে।
সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ প্রধান বিচারপতি বিআর গবইয়ের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে প্রথমার্ধে মামলাটির শুনানি হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে অন্য মামলার শুনানিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রধান বিচারপতি। অগত্যা সোমবার ওবিসি মামলার শুনানি হয়নি।
ওবিসি সংক্রান্ত জটিলতার জেরে দীর্ঘ দিন ধরে রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ আটকে ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মিলতেই গত ২২ অগস্ট প্রকাশিত হয়েছে রাজ্য জয়েন্টের ফল। তবে ওবিসি নিয়ে সামগ্রিক জটিলতা এখনও কাটেনি। ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল নিয়ে আরও কয়েকটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সোমবার সেই মামলাগুলিরই শুনানি হওয়ার কথা ছিল শীর্ষ আদালতে। চলতি সপ্তাহে ফের ওই মামলা শুনানির জন্য উঠতে পারে। আগামী সপ্তাহে ওবিসি-র মূল মামলাটির শুনানিও রয়েছে।
২০২৪ সালের ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টে ২০১০ সালের পরে দেওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দিয়েছিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে মোট ৬৬টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি বলে ধরা হত। ২০১০ সালে তৎকালীন বাম সরকারের আমলে আরও ৪২টি এবং ২০১২ সালে তৃণমূল সরকারের আমলে ৩৫টি জনগোষ্ঠীকে নতুন করে ‘ওবিসি’ বলে চিহ্নিত করা হয়। সেই সব ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করে দেয় হাই কোর্ট। বলা হয়, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে। তার পর নতুন করে ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। হাই কোর্ট আরও জানায়, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত যে ৬৬টি জনগোষ্ঠী অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অংশ ছিল, কেবলমাত্র তাদেরই শংসাপত্র গ্রাহ্য হবে চাকরির নিয়োগ কিংবা কলেজে ভর্তিতে। ইতিমধ্যে রাজ্য একটি সমীক্ষা করে ওবিসি নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করে। তা নিয়ে ফের হাই কোর্টে মামলা হয় এবং সেটির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। পরবর্তী কালে হাই কোর্টের ওই নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ওই মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে।