মা বলছেন, বুধবার সন্ধেবেলা একটা ফোন আসে মেয়ের। তার পরেই তিনি ‘একটু আসছি’ বলে বেরিয়ে যান। সেই শেষ দেখা। সারা রাত আর তরুণী মেয়ের খোঁজ পায়নি পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র শ’দেড়েক মিটার দূরের একটি বাঁশঝাড় থেকে তাঁর বিবস্ত্র ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, এর পরে ময়নাগুড়ি থানায় এফআইআর করতে গেলে পুলিশের তরফে বলা হয়, ধর্ষণ শব্দটি এখনই যেন লেখা না হয়। পরে অবশ্য ওসি থেকে শুরু করে জেলা পুলিশকর্তারা সকলেই জানান, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল পরিবারকে। অভিযোগ দায়ের করার পরে এ দিন সন্ধেয় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মৃতার দাদার অভিযোগ, ‘‘ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বোনকে। অথচ এফআইআরে ধর্ষণ শব্দটি বাদ দিতে বলা হয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়েই এফআইআরের বয়ান বদলাতে হয়।’’ ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ যেখানে উঠেছে, সেখানে এই ভাবে কি এফআইআরের বয়ান বদলাতে চাপ দেওয়া যায়? জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি পরে বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তাই আমরা পরিবারের লোককে অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। দু’টি অভিযোগপত্রই আমরা নিয়ে রেখেছিলাম। পরে ধর্ষণের অভিযোগও যোগ করে নিতে বলেছি।’’
তরুণীর বাবা রান্নার কাজ করেন। দাদা গাড়িচালক। মেয়ের খুনিদের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন তাঁর মা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবক জেরায় তাদের কাছে স্বীকার করেছে, সে-ই খুন করেছে মেয়েটিকে।