—প্রতীকী চিত্র।
মেয়ের সামনেই বাবাকে খুন! এক বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে এক যুবকের প্রহারে মৃত্যু হয় তাঁর। শিলিগুড়ির মাদানিবাজার সংলগ্ন বাড়িভাসা এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম বিদ্যুৎ দাস। তাঁকে জখম অবস্থায় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিক্রম সরকার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তাঁকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিংহ বলেন, ‘‘অভিযুক্ত বিক্রম সরকারকে আমরা আটক করি। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খানিকটা সুস্থ হলে তার পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।’’
মাদানিবাজারে বিদ্যুতের মিষ্টির দোকান রয়েছে। বিকেলে বাড়িতেই ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময় তাঁর বাড়ির সামনে একটি ফাঁকা মাঠে বিক্রম একটি শিশুকে মারধর করছিলেন। ওই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে যান বিদ্যুৎ। সেই সময়েই বিক্রম ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিদ্যুতের উপর আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ বিদ্যুতের মেয়ে পায়েলের। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে যান এলাকার লোকেরা। তাঁরাই বিদ্যুৎকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এলাকাবাসীদের দাবি, বিক্রম আগেও একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন। পাড়ার মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, আক্রমণ করা। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও রয়েছে। বিদ্যুতের মেয়ে পায়েল বলেন, ‘‘আমার চোখের সামনে বাবাকে খুন হতে হল। দু’জনের মধ্যে বচসা বেধেছিল। সেটাই আটকাতে গিয়েছিল বাবা। তখনই বিক্রম আক্রমণ করে। ওর কঠোর শাস্তি চাই।’’
এলাকাবাসী সুধীর রায় বলেন, ‘‘আমি বিদ্যুৎ দাসকে উদ্ধার করে বাইকে নিয়ে জেলা হাসপাতালের দিকে রওনা হই। কিন্তু মাঝ রাস্তায় পথ আটকে দাঁড়ায় বিক্রম। কোনও ভাবেই যেতে দেবে না! পরে বিদ্যুৎকে টোটো করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’’