Nepal-West Bengal Border

নেপালের অশান্তিতে বাংলার পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে দাঁড়িয়ে শয়ে শয়ে ট্রাক! আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য খোলা হল কন্ট্রোল রুম

মঙ্গলবার নেপালের বিরতামোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন আন্দোলনকারীরা। সেখানেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। সেই কারণে কোনও রকম ঝুঁকি না-নিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটসাট করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:২৪
Share:

মঙ্গলবার থমথমে পানিট্যাঙ্কি এলাকা। —নিজস্ব চিত্র।

জেন জ়ি আন্দোলনের আঁচ যাতে নেপাল পেরিয়ে এ প্রান্তে না-আসে, সে জন্য ইন্দো-নেপাল সীমান্তে কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছে। সরকারি ভাবে বলা না হলেও ইতিমধ্যে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে যান চলাচল বন্ধ। একসঙ্গে একাধিক পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার।

Advertisement

আন্দোলনে উত্তাল প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। নেপালের কৃষিমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের খবর মিলেছে। এমতাবস্থায় ওই আন্দোলনের আঁচে থমথমে পরিবেশ ইন্দো-নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কিতে। উত্তরবঙ্গে নেপাল সীমান্তে কয়েকশো ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে ওপারের অশান্তির জন্য। পানিট্যাঙ্কিতেও দোকানপাট বন্ধ। সোমবার দুপুর থেকেই সেখানে কড়াকড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন পরিচয়পত্র পরীক্ষা ছাড়া সীমান্ত পারাপার কঠিন। এ পারে এসএসবি, ও পারে নেপালি সেনা সতর্ক রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার নেপালের বিরতামোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন আন্দোলনকারীরা। সেখানেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। সেই কারণে কোনও রকম ঝুঁকি না-নিয়ে সীমান্তে নিরাপত্তা আঁটসাট করা হয়েছে। ইন্দো-নেপাল সীমান্তে দ্বিগুন করা হয়েছে নিরাপত্তা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা হয়েছে, ‘হাই অ্যালার্ট’। সকাল থেকেই সেখানে নাকা তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সীমান্ত পারাপারে প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে। নামানো হয়েছে ডগ স্কোয়াড। প্রতিটি গাড়ির চালকের নাম, যাত্রীর নাম-সহ অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। সীমান্তের দু’পারেই আটকে রয়েছে শয়ে শয়ে ট্রাক।

Advertisement

ভারতের প্রায় শতাধিক ট্রাকচালক এখন নেপাল সীমান্তে আটকে। রয়েছেন অনেক পর্যটকও। আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করেছে দার্জিলিং জেলা পুলিশ। সকাল থেকেই ইন্দো-নেপাল পানিট্যাঙ্কি সীমান্তের পরিস্থিতি যাচাই করেন দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার প্রবীন প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সীমান্তে নাকা তল্লাশি শুরু করেছি। এ পারে যদিও অশান্তির কোনও খবর নেই। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি৷ নেপাল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এসএসবি-ও সতর্ক রয়েছে। নেপালে কোনও ভারতীয় সমস্যায় পড়লে দার্জিলিং জেলা পুলিশের হেল্পলাইনে ফোন করলে আমরা যথাসম্ভব সাহায্য করব।’’

অন্য দিকে, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব নেপাল ছেড়ে দেশে ফিরে আসতে চাইছেন আটকে থাকা ভারতীয়েরা। সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন হাওড়ার আমতার বাসিন্দা মলয় দত্ত। বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার ফিরে এসেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘নেপালে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আরও খারাপ হচ্ছে। কাঠমান্ডুতে ছিলাম। পরিস্থিতি খারাপ দেখে ফিরে আসতে হল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement