রবিবার কালিম্পং জেলায় সমস্ত ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক বিশ্বনাথ। ছবি: সংগৃহীত।
প্যারাগ্লাইডিং করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় জখম পর্যটকের ডান পায়ে অস্ত্রোপচার করলেন চিকিৎসকেরা। শনিবার দুর্ঘটনার পরে রাতেই জখম গৌরব চৌধুরীকে না মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। নার্সিংহোম সূত্রের খবর, গৌরববাবু পা ও কোমরে চোট রয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে নজরে রেখেছেন। রবিবার তাঁর সহকর্মী, পরিবারের লোকজন শিলিগুড়ি এসেছেন। শনিবার প্যারাগ্লাইডিংয়ের গাইড পুরষোত্তম সানি ও গৌরব একটি বাড়ির ছাদে আছড়ে পড়েন। ঘটনায় পুরযোত্তম সানি মারা যান।
রবিবার কালিম্পং জেলায় সমস্ত ধরনের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক বিশ্বনাথ। লাইসেন্স, প্রশিক্ষণ, পরিকাঠামো সব খতিয়ে না দেখে তা শুরু করা হবে না বলে জেলাশাসক জানিয়ে দিয়েছেন। বন্ধ থাকছে প্যারাগ্লাইডি, র্যাফ্টিং দু’টোই। জেলাশাসক বলেন, ‘‘কালিম্পং জেলায় অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের বিষয়গুলো গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) দেখাশুনো করে। কিন্তু পরপর দুর্ঘটনার ঘটেছে। আমরা জিটিএ-র সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। আপাতত কোনও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, ট্যুরিজম চলবে না। সব খতিয়ে দেখেই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ রবিবার ডেলোয় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। কালিম্পংয়ে প্যারাগ্লাইডিংয়ের সেন্টারগুলোও এ দিন বন্ধ ছিল।
শনিবারই জিটি-র তত্ত্বাবধায়ক ভাইস চেয়ারম্যানও একইভাবে প্যারাগ্লাইডিং বন্ধের কথা বলেছিলেন। পাহাড়ে একমাত্র কালিম্পংয়ে অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও রক ক্লাইম্বিং, সাইক্লিং ও তিস্তায় র্যাফ্টিং হয়। বছর খানেক আগে পাহাড়ে ঘুরতে এসে র্যাফ্টিং দুর্ঘটনায় সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি গুরুতর জখম হন। মহিলা সুস্থ হলেও তাঁর স্বামী মারা যান। সেই সময়ও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে নজরদারি, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এদিন কালিম্পং জেলা পুলিশ দুপুরে গ্রাহামস হোমস লাগোয়া এলাকায় তদন্তে যায়। তাঁরা ডেলোতেও গিয়েছিলেন।