প্রতীকী ছবি।
সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে বিমান। গন্তব্য কলকাতা। বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে দুই যাত্রী দেখেন, বিমানে আসন খালি নেই। তাই বৈধ টিকিট থাকা সত্ত্বেও তাঁদের বোর্ডিং পাস দেওয়া হল না। ঘটনার প্রতিবাদে দুই যাত্রীর এক জন, আইনজীবী অভ্রজ্যোতি দাস বাগডোগরা থানা ও বিমানবন্দর অধিকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।
সম্প্রতি বাগডোগরা-কলকাতার মধ্যে সকালে ৭৮ আসনের ‘কিউ-৪০০ বম্বার্ডিয়ার’ বিমান চালাচ্ছে স্পাইসজেট। এ দিন সব যাত্রী আসার পরে দেখা যায়, আসন ভর্তি হয়ে দু’জন বাড়তি। যাত্রীদের সে কথা জানানোর পরে কিছু ক্ষণ চেঁচামেচি চলে দু’পক্ষে। শেষে দু’জনের অন্যতম এক মহিলা যাত্রীকে পরের বিমানে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করে বিমান সংস্থাটি। কিন্তু অভ্রজ্যোতিবাবু রাজি হননি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘প্রায় সাড়ে ১১ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলাম। হাইকোর্টে বিশেষ কাজের জন্য সকালের বিমানে টিকিট কাটি। অথচ কী অদ্ভুত, আসনের থেকে বেশি টিকিট বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে!’’ তিনি জানান, ‘‘এটা তো দেখছি জালিয়াতি ব্যবসার শামিল। টিকিট বিক্রির সময়ে ধরেই নেওয়া হচ্ছে, ২-৪ জন দেরিতে এসে বোর্ডিং পাস না পেয়ে বিমান ধরতে পারবেন না!’’ আইনি লড়াইয়ের কথাও জানান তিনি।
স্পাইসজেটের প্রতিনিধিদের যুক্তি, অনলাইনে টিকিট বিক্রির জন্য অনেক সময়ই বিমান সংস্থাগুলির ই-টিকিটিং-র ক্ষেত্রে এমন সমস্যা হয়। আসনের থেকে কয়েকটি টিকিট বেশি বিক্রি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে যাত্রীকে পরের বিমানে আসন দেওয়া অথবা প্রায় দ্বিগুণ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হয়। অভ্রজ্যোতিবাবুর ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। স্পাইসজেটের বাগডোগরার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সৌরভ থাপা বলেছেন, ‘‘অভ্রজ্যোতিবাবুর ক্ষেত্রে আমরা ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’’
অভিযোগ পৌঁছেছে বাগডোগরার অধিকর্তা সুব্রমণি পি দফতরে। তিনি বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় রয়েছি। ফিরে গিয়ে বিষয়টি দেখব।’’ পুলিশের বক্তব্য, দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করা হবে। প্রয়োজনে অভিযোগকারী ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে যেতে পারেন।